ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ আটক নারীকে ছেড়ে দেয়া ও ইয়াবা গায়েবের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০১:২৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • / ৯১৩

মোঃ নূরুল আমিন, বিশেষ প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মহিপুর থানা পুলিশ’র বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ দু’যুবক ও এক নারীকে আটকের পর আটকৃকত নারীকে ছেড়ে দেয়াসহ ইয়াবার পরিমাণে গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি গত দু’দিন ধরে কুয়াকাটায় তোলপাড় সৃষ্টি করলেও এ নিয়ে মহিপুর থানা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

তবে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, ওসি স্যারের নির্দেশেই হয়েছে সব। আর মহিপুর থানার ওসি’র বক্তব্য, নারীকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার আগে ভিডিওটি তাদের পাঠাতে বলা হয়।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াকাটার কানসাই নামে একটি বিলাস বহুল আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় মহিপুর থানা পুলিশ। এসময় হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে এক কলগার্ল সহ দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রুপসিয়া গ্রামের আঃ আজিজ হাওলাদারের ছেলে মেহেদি হাসান মুন্না (২৮) ও সাতানি কালভার্ট বাজারের মৃত মফেজ জোমাদ্দারের ছেলে আবু জাফরকে (৪৪) আটক করে পুলিশ। পরে হোটেলের কক্ষ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি ও শতাধিক পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর রহস্যজনক ভাবে মহিপুর থানা পুলিশ একজনকে ৫ পিস ও অপর জনকে ২০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে জব্দ তালিকা তৈরী করে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে। তবে মামলার বিবরণে কলগার্ল ও ইয়াবার সঠিক তথ্য এড়িয়ে যায় পুলিশ।

বিষয়টি কুয়াকাটায় জানাজানি হবার পর এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে মামলায় এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলো ফাঁস হয়ে পড়ায় অভিযানে অংশ নেয়া মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইদুর (বিপিনং-৭৮৯৮০৫৮২২৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল, কনেষ্টবল রুবেল, ইমন, রেজাউল’র
সামারির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইদুর বলেন, ‘আমি ছুটি থেকে এসে ওসি স্যারের নির্দেশে কুয়াকাটার কানসাই হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে ২৫ পিচ ইয়াবাসহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে মামলা দায়ের করি। ওসি স্যারের নির্দেশেই হয়েছে সব।’

মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এ ঘটনায় দু’জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অটককৃতদের শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নারীকে ছেড়ে দেয়ার যে বিষয়টি উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ’র কাছে বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার আগে ভিডিওটি তাকে পাঠাতে বলেন।



নিউজটি শেয়ার করুন








কুয়াকাটায় ইয়াবাসহ আটক নারীকে ছেড়ে দেয়া ও ইয়াবা গায়েবের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

আপডেটের সময় : ০১:২৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

মোঃ নূরুল আমিন, বিশেষ প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মহিপুর থানা পুলিশ’র বিরুদ্ধে ইয়াবাসহ দু’যুবক ও এক নারীকে আটকের পর আটকৃকত নারীকে ছেড়ে দেয়াসহ ইয়াবার পরিমাণে গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি গত দু’দিন ধরে কুয়াকাটায় তোলপাড় সৃষ্টি করলেও এ নিয়ে মহিপুর থানা পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।

তবে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, ওসি স্যারের নির্দেশেই হয়েছে সব। আর মহিপুর থানার ওসি’র বক্তব্য, নারীকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার আগে ভিডিওটি তাদের পাঠাতে বলা হয়।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াকাটার কানসাই নামে একটি বিলাস বহুল আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় মহিপুর থানা পুলিশ। এসময় হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে এক কলগার্ল সহ দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রুপসিয়া গ্রামের আঃ আজিজ হাওলাদারের ছেলে মেহেদি হাসান মুন্না (২৮) ও সাতানি কালভার্ট বাজারের মৃত মফেজ জোমাদ্দারের ছেলে আবু জাফরকে (৪৪) আটক করে পুলিশ। পরে হোটেলের কক্ষ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি ও শতাধিক পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর রহস্যজনক ভাবে মহিপুর থানা পুলিশ একজনকে ৫ পিস ও অপর জনকে ২০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে জব্দ তালিকা তৈরী করে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে। তবে মামলার বিবরণে কলগার্ল ও ইয়াবার সঠিক তথ্য এড়িয়ে যায় পুলিশ।

বিষয়টি কুয়াকাটায় জানাজানি হবার পর এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যাতে মামলায় এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলো ফাঁস হয়ে পড়ায় অভিযানে অংশ নেয়া মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইদুর (বিপিনং-৭৮৯৮০৫৮২২৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল, কনেষ্টবল রুবেল, ইমন, রেজাউল’র
সামারির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোঃ সাইদুর বলেন, ‘আমি ছুটি থেকে এসে ওসি স্যারের নির্দেশে কুয়াকাটার কানসাই হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে ২৫ পিচ ইয়াবাসহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে মামলা দায়ের করি। ওসি স্যারের নির্দেশেই হয়েছে সব।’

মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এ ঘটনায় দু’জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অটককৃতদের শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নারীকে ছেড়ে দেয়ার যে বিষয়টি উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ’র কাছে বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার আগে ভিডিওটি তাকে পাঠাতে বলেন।