এইচ.এম.আল-আমিন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ খালেদ হোসেন হুমায়ুন (৬০)। যৌবনে দেশবাসীর খবর পৌঁছে দিতেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। রাজ্যের সকল রোগ শরীরে বাসা বাঁধায় এখন নিজেই হয়েছেন খবরের শিরোনাম। হতদরিদ্র পত্রিকা বিক্রেতা খালেদ হোসেন হুমায়ুনের অর্থকড়ি না থাকায় বিগত ১০টি বছর হৃদরোগ, কিডনিরোগ, শাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যায় ভুগছেন।

বর্তমানে হাঁটাচলাও করতে পারেন না। চিকিৎসক জানিয়েছেন পুরোপুরি শয্যায় এবং বিশ্রামে থাকতে হবে। কিন্তু সংসারে নিত্য টানাপোড়নে সে সাধ্য হুমায়ুন মিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। পরিবারের দুই সদস্যের খরছ আর মাস শেষে ওষুধের টাকা জোগান দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না হুমায়ুন মিয়ার পক্ষে। বাধ্য স্ত্রী স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়েছেন আয়ার চাকুরী। একটি ক্লিনিকে আয়ার মাস শেষে বেতনের উপর কতটা নির্ভর করে সংসারের সকল খরছ ও ওষুধ কেনার টাকা।

বর্তমানে তিনি ঢাকার হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক নূপুর করের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক জানান, তার হার্টে কয়েকটি ব্লক রয়েছে । বর্তমানে তার উন্নত চিকিৎসা জরুরি। খালেদ হোসেন হুমায়ুনের চিকিৎসায় দরকার মাত্র দুই লক্ষ টাকা।

কিন্তু অসহায় হতদরিদ্র সহায় সম্বলহীন খালেদ হোসেন হুমায়ুনের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকায় বর্তমানে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন মানুষের কাছে ধারদেনা করে কোন রকম বেঁচে আছেন তার পরিবার।

খালেদ হোসেন হুমায়ুন রামগঞ্জ পৌর শহরের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বেয়াই এবং রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগারাজারামপুর পাটোয়ারী বাড়ীর বাসিন্দা ও দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।

খালেদ হোসেন হুমায়ুন জানান, আমার পক্ষে যেখানে ওষুধ কেনার টাকা জোগান দেয়া সম্ভব নয় সেখানে আমি কিভাবে এত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাবো। দু-মুঠো খাবার সংগ্রহ করতে আমার স্ত্রী এখন একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করছে। এসময় তিনি একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়ায় রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাব এবং হুইল চেয়ার প্রদান করায় রামগঞ্জ এম ইউ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঋৎরবহফং ঋড়ৎবাবৎ ২০০০ খঃফ’কে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাজের বিত্তবান মানুষকে তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

মোঃ খালেদ হোসেন হুমায়ুন
বিকাশ নং ০১৭০৬৪৭৬৬০০ অথবা নগদ একাউন্ট ০১৮১৪৯১২৬৭৮ নম্বরে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন খালেদ হোসেন হুমায়ুনের স্ত্রী।