ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলো ডিভোর্স দিয়ে ভালো বন্ধু হই!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • / ৯৫২

চলো ডিভোর্স দিয়ে ভালো বন্ধু হই! (পশ্চিমাদের নয়া শ্লোগান)
–মুহাম্মাদ সাব্বির আহমাদ

শিরোনাম দেখে আশ্চর্য হয়েছেন অবশ্যই। হ্যাঁ বর্তমানে ভালো বন্ধু হওয়ার নতুন শ্লোগান বাজারে এসেছে। শোবিজের জগতে তথাকথিত সেলেব্রিটিরা সমাজে এমন অসভ্য কাজের প্রচার প্রসারে লিপ্ত। পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য পশ্চিমাদের নতুন এই শ্লোগান। নারী অধিকারের শ্লোগান দিয়ে অসভ্য সমাজ বানানোর পায়তারা করছে।

হলিউড, বলিউড, ঢালিউডের অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী এরকম অসভ্য কাজে লিপ্ত । বিশেষকরে মুসলিম নাম ধারণকারীরাও এর থেকে কোনভাবে পিছিয়ে নেই।

হলিউডের অঞ্জলা জেলি সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তার সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো বন্ধু হওয়ার জন্য।

কিছুদিন আগে বলিউডের নামকরা অভিনেতা ইমরান খানও তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে লাইভে এসে দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে শুধুমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য এবং এতে নাকি তারা খুব স্বাচ্ছন্দবোধ করছে।

বছর কয়েক আগে ঢালিউডের তাহসান মিথিলার দাম্পত্য জুটিও বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য ডিভোর্স দিয়েছে। অথচ তরুণদের মাঝে ব্যাপক আলোচিত ছিলো এই জুটি । এবং তাদের জুটি তরুন প্রজন্ম আইডল মানতো। কিন্তু এই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে ফ্রেন্ড হিসেবে থাকার জন্য। এখন নাকি তারা খুব ভালো বন্ধু।

এইতো গত মাসেও ঢালিউডের আরেক অভিনেত্রী মাহি ও তার ৫ বছরের সংসার বিচ্ছেদ করেছে সেই বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে থাকার জন্য। এবং এ বিষয়ে নাকি তারা নিজেরা বুঝাপড়া করেই ডিভোর্সের পথে হেঁটেছে শুধুমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য।

আসলে এরা বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য নয় এরা সমাজের পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্যই এসব করছে।

ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে সে ব্যাপরে কুরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।

পবিত্র আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সাথে বসবাস করো সদাচারের সাথে। আর যদি তোমরা কোনো কারণে তাদের অপছন্দ করো, তাহলে হয়তো তোমরা এমন একটি বস্তুকে অপছন্দ করলে, যাতে আল্লাহ তায়ালা প্রভুত কল্যাণ রেখেছেন। (সূরা নিসা : ১৯)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন তা নবিজী মুহাম্মাদ সাঃ এর অসংখ্য হাদিসে উদাহরণ ও দিক নির্দেশনা রয়েছে। আমি এখানে কয়েকটি উদহারণ দিচ্ছি

স্ত্রীদের সাথে খেলাধূলা করা-

আয়েশা রা. বলেছেন:
-একবার নবীজি আমাকে বললেন, চলো দৌড় প্রতিযোগিতা করি! আমরা দৌড়ালাম। আমি তার চেয়ে এগিয়ে থেকে দৌড় শেষ করলাম। কিছুদিন পর আমার স্বাস্থ্য একটু ভাল হলে, তিনি আবার একদিন প্রতিযোগিতা দিতে বললেন। এবার তিনি জয়ী হলেন। মুচকি হেসে বললেন:
-এটা সেটার বদলা। শোধবোধ। (আবু দাউদ)।

আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।

’পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।

’স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনি ও আন্যান্য আলোচনা করতেন। এমনকি প্রত্যেক স্ত্রীও বিশ্বনবিকে পালাক্রমে নতুন নতুন কিসসা-কাহিনি শুনাতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও তাঁদেরকে কিসসা শুনাতেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসুল।
তিনি কখনো তাঁর স্ত্রীদের ভৎসনা, তিরস্কার করতেন না এবং তাদের সঙ্গে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া-মমতায় মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা বলতেন। তাঁর কথার ভাবভঙ্গিতে স্ত্রীদের মন জুড়িয়ে যেতো।

ইসলামে এমন সুন্দর ও সঠিক দিকনির্দেশনা থাকার পরও পশ্চিমাদের বেস্ট ফ্রেন্ডের ধোয়া তুলে আমাদের আগামীর প্রজন্ম ও পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে এক অসভ্য সমাজ গঠনের জন্য বড় একটি চক্রান্ত। একজন সচেতন বিবেকমান মানুষ কোনভাবেই এমন অসভ্য কাজের স্বীকৃতি দিতে পারে না।

আপনার সংসারে মনোমালিন্য হবে বা তা বিচ্ছেদ হওয়ার পর্যায়েও যাবে। আপনি তালাক/ ডিভোর্স দিয়ে আলাদা হবেন তাতে ইসলাম বাঁধা ও নিষিদ্ধ করেনি।

ইসলামে তালাক/ডিভোর্সের সুস্পষ্ট বিধানও দিয়েছে। সঠিক দিক নির্দেশনাও দেওয়া আছে। দেশের সংবিধানেও দেওয়া আছে।

কিন্তু পশ্চিমাদের শিখানো বুলি ডিভোর্স দেই ভালো বন্ধু হই এমন শ্লোগান দিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে রংতামাশা করার অধিকার আপনার নাই।

এভাবে পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস, সমাজকে ব্যভিচার ও অশ্লীলতার দিকে আহবানকারীদের ব্যপারে সজাগ ও সতর্ক থাকি এবং সবার সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেই।

বেস্ট ফ্রেন্ড নয় বরং স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কই সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ও এবাদতের সম্পর্ক।
এই সম্পর্কে নেই কোন অশ্লীলতা। আছে শুধু প্রকৃত ভালোবাসা, মধুর সম্পর্ক ও প্রেম ভালোবাসার প্রশান্তির এক মহাকাব্য।



নিউজটি শেয়ার করুন








চলো ডিভোর্স দিয়ে ভালো বন্ধু হই!

আপডেটের সময় : ০৯:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

চলো ডিভোর্স দিয়ে ভালো বন্ধু হই! (পশ্চিমাদের নয়া শ্লোগান)
–মুহাম্মাদ সাব্বির আহমাদ

শিরোনাম দেখে আশ্চর্য হয়েছেন অবশ্যই। হ্যাঁ বর্তমানে ভালো বন্ধু হওয়ার নতুন শ্লোগান বাজারে এসেছে। শোবিজের জগতে তথাকথিত সেলেব্রিটিরা সমাজে এমন অসভ্য কাজের প্রচার প্রসারে লিপ্ত। পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য পশ্চিমাদের নতুন এই শ্লোগান। নারী অধিকারের শ্লোগান দিয়ে অসভ্য সমাজ বানানোর পায়তারা করছে।

হলিউড, বলিউড, ঢালিউডের অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী এরকম অসভ্য কাজে লিপ্ত । বিশেষকরে মুসলিম নাম ধারণকারীরাও এর থেকে কোনভাবে পিছিয়ে নেই।

হলিউডের অঞ্জলা জেলি সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে আরেকজনের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তার সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো বন্ধু হওয়ার জন্য।

কিছুদিন আগে বলিউডের নামকরা অভিনেতা ইমরান খানও তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে লাইভে এসে দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে শুধুমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য এবং এতে নাকি তারা খুব স্বাচ্ছন্দবোধ করছে।

বছর কয়েক আগে ঢালিউডের তাহসান মিথিলার দাম্পত্য জুটিও বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য ডিভোর্স দিয়েছে। অথচ তরুণদের মাঝে ব্যাপক আলোচিত ছিলো এই জুটি । এবং তাদের জুটি তরুন প্রজন্ম আইডল মানতো। কিন্তু এই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে ফ্রেন্ড হিসেবে থাকার জন্য। এখন নাকি তারা খুব ভালো বন্ধু।

এইতো গত মাসেও ঢালিউডের আরেক অভিনেত্রী মাহি ও তার ৫ বছরের সংসার বিচ্ছেদ করেছে সেই বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে থাকার জন্য। এবং এ বিষয়ে নাকি তারা নিজেরা বুঝাপড়া করেই ডিভোর্সের পথে হেঁটেছে শুধুমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য।

আসলে এরা বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার জন্য নয় এরা সমাজের পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্যই এসব করছে।

ইসলামে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে সে ব্যাপরে কুরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।

পবিত্র আল কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সাথে বসবাস করো সদাচারের সাথে। আর যদি তোমরা কোনো কারণে তাদের অপছন্দ করো, তাহলে হয়তো তোমরা এমন একটি বস্তুকে অপছন্দ করলে, যাতে আল্লাহ তায়ালা প্রভুত কল্যাণ রেখেছেন। (সূরা নিসা : ১৯)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন; আর (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সুরা নিসা : আয়াত ১)

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন তা নবিজী মুহাম্মাদ সাঃ এর অসংখ্য হাদিসে উদাহরণ ও দিক নির্দেশনা রয়েছে। আমি এখানে কয়েকটি উদহারণ দিচ্ছি

স্ত্রীদের সাথে খেলাধূলা করা-

আয়েশা রা. বলেছেন:
-একবার নবীজি আমাকে বললেন, চলো দৌড় প্রতিযোগিতা করি! আমরা দৌড়ালাম। আমি তার চেয়ে এগিয়ে থেকে দৌড় শেষ করলাম। কিছুদিন পর আমার স্বাস্থ্য একটু ভাল হলে, তিনি আবার একদিন প্রতিযোগিতা দিতে বললেন। এবার তিনি জয়ী হলেন। মুচকি হেসে বললেন:
-এটা সেটার বদলা। শোধবোধ। (আবু দাউদ)।

আর মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা জেন রেখ, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের ওপর অধিকার আছে। আর তোমাদের স্ত্রীদেরও অধিকার আছে তোমাদের ওপর।

’পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের প্রতি কল্যাণকামী হও।

’স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক বা ভালোবাসা কেমন হবে; দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কেমন হবে; তার বিবরণ ফুটে ওঠেছে স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পারিবারিক জীবনে। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় স্ত্রীদের সঙ্গে বসে বিভিন্ন ঘটনা, কাহিনি ও আন্যান্য আলোচনা করতেন। এমনকি প্রত্যেক স্ত্রীও বিশ্বনবিকে পালাক্রমে নতুন নতুন কিসসা-কাহিনি শুনাতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে নিজেও তাঁদেরকে কিসসা শুনাতেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে হাসতেন, কথা বলতেন ও বসে থাকতেন, আমাদের মনেই হতো না যে তিনি একজন মহান রাসুল।
তিনি কখনো তাঁর স্ত্রীদের ভৎসনা, তিরস্কার করতেন না এবং তাদের সঙ্গে কটাক্ষ ভাষায় কথা বলতেন না। বরং মায়া-মমতায় মন জুড়ানো আকর্ষণীয় কথা বলতেন। তাঁর কথার ভাবভঙ্গিতে স্ত্রীদের মন জুড়িয়ে যেতো।

ইসলামে এমন সুন্দর ও সঠিক দিকনির্দেশনা থাকার পরও পশ্চিমাদের বেস্ট ফ্রেন্ডের ধোয়া তুলে আমাদের আগামীর প্রজন্ম ও পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে এক অসভ্য সমাজ গঠনের জন্য বড় একটি চক্রান্ত। একজন সচেতন বিবেকমান মানুষ কোনভাবেই এমন অসভ্য কাজের স্বীকৃতি দিতে পারে না।

আপনার সংসারে মনোমালিন্য হবে বা তা বিচ্ছেদ হওয়ার পর্যায়েও যাবে। আপনি তালাক/ ডিভোর্স দিয়ে আলাদা হবেন তাতে ইসলাম বাঁধা ও নিষিদ্ধ করেনি।

ইসলামে তালাক/ডিভোর্সের সুস্পষ্ট বিধানও দিয়েছে। সঠিক দিক নির্দেশনাও দেওয়া আছে। দেশের সংবিধানেও দেওয়া আছে।

কিন্তু পশ্চিমাদের শিখানো বুলি ডিভোর্স দেই ভালো বন্ধু হই এমন শ্লোগান দিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে রংতামাশা করার অধিকার আপনার নাই।

এভাবে পারিবারিক ব্যবস্থা ধ্বংস, সমাজকে ব্যভিচার ও অশ্লীলতার দিকে আহবানকারীদের ব্যপারে সজাগ ও সতর্ক থাকি এবং সবার সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেই।

বেস্ট ফ্রেন্ড নয় বরং স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কই সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক ও এবাদতের সম্পর্ক।
এই সম্পর্কে নেই কোন অশ্লীলতা। আছে শুধু প্রকৃত ভালোবাসা, মধুর সম্পর্ক ও প্রেম ভালোবাসার প্রশান্তির এক মহাকাব্য।