আমতলীতে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলন নেতা নিহত

- আপডেটের সময় : ০৮:৪৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৫৫
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ আমতলীতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (৩৮) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় আমতলী-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘটখালী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রেজাউল করিম গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল হকের ছেলে এবং আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম আমতলী শহরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটখালী ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি ছন্দা পরিবহনের বাস তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
খবর ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর শত শত নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা চালক ও হেলপারকে আটক এবং ঘটনার বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করতে গেলে আন্দোলনকারীরা তাদের বাধা দিয়ে ফিরিয়ে দেন।
সড়ক অবরোধের কারণে আমতলী-কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। কুয়াকাটা ও আমতলী থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা, বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটাগামী শত শত বাস, ট্রাক, অটোরিকশা ও পিকআপ আটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের সারি দেখা যায়।
ঢাকাগামী ডলফিন পরিবহনের যাত্রী মো. আরাফাত বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে বাসের মধ্যে আটকে আছি। কবে ছাড়বে জানি না।’
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী যাত্রী আশালতা বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে গরমে অসহ্য কষ্টে আছি। কখন বাড়ি যেতে পারবো, জানি না।’
আমতলী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মো. বায়েজিদ বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী রেজাউল করিমকে হারিয়েছি। চালক ও হেলপারকে আটক না করা পর্যন্ত রেজাউলের লাশ সড়ক থেকে সরানো হবে না এবং অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮টা), সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।