ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় ঝোপে মিললো নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৬:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৯১

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের গলায় গামছা প্যাঁচানো অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার শরিফপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সবুজ হাওলাদার ওই এলাকার মো. আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে ছিলেন এবং মাত্র আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

স্থানীয়রা জানান, গরু চরাতে গিয়ে এক নারী ঝোপে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার পথে ডাকাডাকির শব্দ শুনে গিয়ে দেখি, একটি মরদেহ পড়ে আছে। দুর্গন্ধ এতটাই ছিল যে, কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।’

নিহতের বড় বোন মনিরা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে সবুজের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সবুজ স্ত্রীকে চড় মারেন। পরে আমেনা বিষয়টি তার বড় ভাইকে জানালে বুধবার দুপুরে তিনি এসে সবুজকে হুমকি দিয়ে বোনকে নিয়ে যান। এরপর সবুজও তাদের পেছনে যায়। আমরা ভেবেছিলাম সে আমেনার বাবার বাড়িতে আছে। কিন্তু আজ শুনি, ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’

নিহতের স্ত্রী আমেনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে সবুজ তার বন্ধু লালচানের ফোন দিয়ে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা খাওয়ার ছবি তোলা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনও বন্ধ ছিল।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ হাসান ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



নিউজটি শেয়ার করুন








কুয়াকাটায় ঝোপে মিললো নিখোঁজ যুবকের মরদেহ

আপডেটের সময় : ০৬:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর মো. সবুজ হাওলাদার (২৩) নামে এক যুবকের গলায় গামছা প্যাঁচানো অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার শরিফপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সবুজ হাওলাদার ওই এলাকার মো. আবুল বাশার হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে ছিলেন এবং মাত্র আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

স্থানীয়রা জানান, গরু চরাতে গিয়ে এক নারী ঝোপে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘সাগরে যাওয়ার পথে ডাকাডাকির শব্দ শুনে গিয়ে দেখি, একটি মরদেহ পড়ে আছে। দুর্গন্ধ এতটাই ছিল যে, কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।’

নিহতের বড় বোন মনিরা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে সবুজের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সবুজ স্ত্রীকে চড় মারেন। পরে আমেনা বিষয়টি তার বড় ভাইকে জানালে বুধবার দুপুরে তিনি এসে সবুজকে হুমকি দিয়ে বোনকে নিয়ে যান। এরপর সবুজও তাদের পেছনে যায়। আমরা ভেবেছিলাম সে আমেনার বাবার বাড়িতে আছে। কিন্তু আজ শুনি, ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’

নিহতের স্ত্রী আমেনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে সবুজ তার বন্ধু লালচানের ফোন দিয়ে জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা খাওয়ার ছবি তোলা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনও বন্ধ ছিল।’

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ হাসান ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’