ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাস্তা দখল করে হাট, ক্রেতা-বিক্রেতা ও চালকদের জনদুর্ভোগ

কলাপাড়ায় গরুর বাজার সরকারিভাবে ইজারা হলেও নেই নির্দিষ্ট জায়গা

রাসেল মোল্লা
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ৬৭০

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে প্রতি শনিবার বসে সাপ্তাহিক গরুর হাট। সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন জায়গা নির্ধারণ করা হয়নি এ বাজারের জন্য। ফলে বাজারের মূল সড়ক ও আশপাশের এলাকা দখল করে বসে হাট। এতে প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও গাড়িচালকরা।

এ হাট থেকে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকলেও হাটের স্থায়ী অবকাঠামো বা নির্ধারিত স্থান নির্ধারণে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। ফলে ইজারাদাররাও পড়েছেন বিড়ম্বনায়। স্থানীয়দের মতে, এটি শুধু একটি গরুর হাট নয়—এখানে স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষজন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এ বাজার চালু থাকলেও সম্প্রতি সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ার পর গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয় বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাজারে নির্ধারিত স্থান না থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং প্রায় সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গরু বিক্রেতা সুমন বেপারী, ক্রেতা মুছা বিশ্বাস, মোটরসাইকেল চালক মাসুম ও অটোচালক হালিম জানান, গরুর হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় প্রতিবারই সমস্যা হয়। সরকারি রাজস্ব আদায় হলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

বাজারটির ইজারাদারের পক্ষে বিশ্বাস রাশেদ মোশাররাফ কল্লোল বলেন, ‘আমরা সরকারকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব প্রদান করছি। অথচ বাজার পরিচালনায় চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। দ্রুত গরুর হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জনসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বাজারের আয়তন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাজারের নিকটবর্তী কোনো সরকারি জমি পাওয়া গেলে তা বর্ধিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

এলাকাবাসী, বাজার ইজারাদার এবং পরিবহন চালকদের দাবি, দ্রুত নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দিয়ে একটি সুশৃঙ্খল গরুর হাট গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।



নিউজটি শেয়ার করুন








রাস্তা দখল করে হাট, ক্রেতা-বিক্রেতা ও চালকদের জনদুর্ভোগ

কলাপাড়ায় গরুর বাজার সরকারিভাবে ইজারা হলেও নেই নির্দিষ্ট জায়গা

আপডেটের সময় : ০৮:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে প্রতি শনিবার বসে সাপ্তাহিক গরুর হাট। সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন জায়গা নির্ধারণ করা হয়নি এ বাজারের জন্য। ফলে বাজারের মূল সড়ক ও আশপাশের এলাকা দখল করে বসে হাট। এতে প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও গাড়িচালকরা।

এ হাট থেকে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকলেও হাটের স্থায়ী অবকাঠামো বা নির্ধারিত স্থান নির্ধারণে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। ফলে ইজারাদাররাও পড়েছেন বিড়ম্বনায়। স্থানীয়দের মতে, এটি শুধু একটি গরুর হাট নয়—এখানে স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষজন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও কিনে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এ বাজার চালু থাকলেও সম্প্রতি সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ার পর গরু-ছাগলের ক্রয়-বিক্রয় বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বাজারে নির্ধারিত স্থান না থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং প্রায় সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গরু বিক্রেতা সুমন বেপারী, ক্রেতা মুছা বিশ্বাস, মোটরসাইকেল চালক মাসুম ও অটোচালক হালিম জানান, গরুর হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় প্রতিবারই সমস্যা হয়। সরকারি রাজস্ব আদায় হলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

বাজারটির ইজারাদারের পক্ষে বিশ্বাস রাশেদ মোশাররাফ কল্লোল বলেন, ‘আমরা সরকারকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব প্রদান করছি। অথচ বাজার পরিচালনায় চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। দ্রুত গরুর হাটের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জনসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বাজারের আয়তন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাজারের নিকটবর্তী কোনো সরকারি জমি পাওয়া গেলে তা বর্ধিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

এলাকাবাসী, বাজার ইজারাদার এবং পরিবহন চালকদের দাবি, দ্রুত নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দিয়ে একটি সুশৃঙ্খল গরুর হাট গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।