ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘নিতু ও বাবলু দম্পতি’

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ৬৯৮

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: পোল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি বাবলু ভূঁইয়া (জাহিদ) ও ইসরাত জাহান (নিতু) সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ এবং মানববন্ধনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, “এই সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। এতে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মানহানি ঘটেছে।”
জানা যায়, বর্তমানে বাবলু ও নিতু দম্পতি পোল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং সেখানে তাদের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের দাবি, স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ভাটরা বাজারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাবলু-নিতু দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়। মানববন্ধনে বলা হয়, ভাটরা, লোট্টা এবং আশপাশের গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়েছেন ইউরোপে পাঠানোর জন্য। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন নিতু ও বাবলু। তারা জানান, অনেকেই চুক্তিভিত্তিকভাবে তাদের কাছে পোল্যান্ডে যাওয়ার আবেদন করেন এবং এসব আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ ব্যয় হয় নির্দিষ্ট কাজের জন্য, যা নন-রিফান্ডেবল বলে পূর্বেই জানানো হয়। আবেদন বাতিল হলে সেই ব্যয় ফেরতযোগ্য নয়।

নিতু বলেন, “নুরু হোসেন, রবিউল ও অন্যান্যদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নুরু হোসেন যে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন, তার কোনো লিখিত প্রমাণ নেই। এমনকি, তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন আমাদের চুক্তির শর্তে, যেখানে পরিষ্কার বলা আছে—ফাইল রেডি করার পর তা জমা না দিলে টাকা ফেরতযোগ্য নয়।”
তারা জানান, মানববন্ধনে সাকিব নামের এক ব্যক্তির নামও এসেছে, তবে সাকিবের বাবা ও বোন জানিয়েছেন—তারা কোনো অভিযোগ করেননি।
পূর্বের মেম্বার মোস্তাফার ছেলে রুবেল সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “ফাইল রেডি করার পর তা জমা না দিলে টাকা ফেরতযোগ্য নয়”—এই শর্ত মেনে অনেকে পাসপোর্ট জমা দেন। তাই এখন এসে প্রতারণার অভিযোগ তোলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শাকিলকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিতু আরও জানান, “ভাটরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. শাহ জাহানের ছেলে শাকিল আমাদের মামাতো বোনের জামাই। তাকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পোল্যান্ডে এনে আমাদের কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু একাধিকবার চুরির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়। শাকিল পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকানের মালপত্র নিয়ে চলে যায়। এই বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।”
এছাড়া, শাকিল পরবর্তীতে পাসপোর্ট হারানোর মিথ্যা অভিযোগ করেন এম্বাসিতে, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পুলিশের রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্ট তার প্রমাণ বহন করে। এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং থানার ওসি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
নিতু বলেন, “শাকিল ও তার সহযোগীরা এখন দেশে থাকা কিছু ব্যক্তিকে উসকানি দিচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে। এম্বাসিতে তাদের একাধিকবার ডাকা হলেও তারা উপস্থিত হননি এবং উল্টো এম্বাসির বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”

নিতু ও বাবলু দম্পতি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। যারা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করে আমাদের মানহানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি—কোনো বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় কান না দিয়ে সত্য যাচাই করে তবেই মতামত গঠন করুন। আমরা আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি।”



নিউজটি শেয়ার করুন








প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ‘নিতু ও বাবলু দম্পতি’

আপডেটের সময় : ০৯:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: পোল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি বাবলু ভূঁইয়া (জাহিদ) ও ইসরাত জাহান (নিতু) সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ এবং মানববন্ধনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, “এই সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। এতে আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মানহানি ঘটেছে।”
জানা যায়, বর্তমানে বাবলু ও নিতু দম্পতি পোল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং সেখানে তাদের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের দাবি, স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ভাটরা বাজারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাবলু-নিতু দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়। মানববন্ধনে বলা হয়, ভাটরা, লোট্টা এবং আশপাশের গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়েছেন ইউরোপে পাঠানোর জন্য। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন নিতু ও বাবলু। তারা জানান, অনেকেই চুক্তিভিত্তিকভাবে তাদের কাছে পোল্যান্ডে যাওয়ার আবেদন করেন এবং এসব আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ ব্যয় হয় নির্দিষ্ট কাজের জন্য, যা নন-রিফান্ডেবল বলে পূর্বেই জানানো হয়। আবেদন বাতিল হলে সেই ব্যয় ফেরতযোগ্য নয়।

নিতু বলেন, “নুরু হোসেন, রবিউল ও অন্যান্যদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নুরু হোসেন যে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন, তার কোনো লিখিত প্রমাণ নেই। এমনকি, তিনি পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন আমাদের চুক্তির শর্তে, যেখানে পরিষ্কার বলা আছে—ফাইল রেডি করার পর তা জমা না দিলে টাকা ফেরতযোগ্য নয়।”
তারা জানান, মানববন্ধনে সাকিব নামের এক ব্যক্তির নামও এসেছে, তবে সাকিবের বাবা ও বোন জানিয়েছেন—তারা কোনো অভিযোগ করেননি।
পূর্বের মেম্বার মোস্তাফার ছেলে রুবেল সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, “ফাইল রেডি করার পর তা জমা না দিলে টাকা ফেরতযোগ্য নয়”—এই শর্ত মেনে অনেকে পাসপোর্ট জমা দেন। তাই এখন এসে প্রতারণার অভিযোগ তোলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
শাকিলকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিতু আরও জানান, “ভাটরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. শাহ জাহানের ছেলে শাকিল আমাদের মামাতো বোনের জামাই। তাকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পোল্যান্ডে এনে আমাদের কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হয়। কিন্তু একাধিকবার চুরির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার কারণে তাকে বাদ দেওয়া হয়। শাকিল পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকানের মালপত্র নিয়ে চলে যায়। এই বিষয়ে সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।”
এছাড়া, শাকিল পরবর্তীতে পাসপোর্ট হারানোর মিথ্যা অভিযোগ করেন এম্বাসিতে, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পুলিশের রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্ট তার প্রমাণ বহন করে। এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং থানার ওসি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
নিতু বলেন, “শাকিল ও তার সহযোগীরা এখন দেশে থাকা কিছু ব্যক্তিকে উসকানি দিচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে। এম্বাসিতে তাদের একাধিকবার ডাকা হলেও তারা উপস্থিত হননি এবং উল্টো এম্বাসির বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”

নিতু ও বাবলু দম্পতি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। যারা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করে আমাদের মানহানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি—কোনো বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় কান না দিয়ে সত্য যাচাই করে তবেই মতামত গঠন করুন। আমরা আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি।”