স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরা ঢাকা ও জামিয়া সাঈদীয়া কারিমীয়া ভাটারা ঢাকার পৃথক দু’টি খতমে বোখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘অতীতে নাগরিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত হওয়ায় দেশের মানুষের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এর আগেও একই কারণে অতীতের সরকারেরা ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজনের দুঃসাহস দেখিয়েছে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে দেশে যাতে আর কেউ নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে। নতুন করে পেশীশক্তি দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন করে পার পাওয়া তো দূরের কথা সাহস ও যাতে না পায় তেমন সংস্কার জনগণ চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক সময়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কথায় প্রশাসন পরিচালিত হতো। এখন কারো কথায় প্রশাসন চলুক এটা জনগন চায় না।’

শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘বর্তমানে কোনো কোনো এলাকায় একটি দলের কথায় প্রশাসন কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছে, এটা প্রত্যাশিত নয়। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে তবে দেশে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাবে। এজন্য দ্রুত সময়ে সচিবালয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করানো যখন পুরোপুরি সম্ভব হবে, তখন জনগণ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী হবে। কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়ার আশা করতে পারবে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মকবুল হোসেন ও আলহাজ্ব আবু সাঈদ প্রমুখ।