ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে এমপি মুরাদের প্রচেষ্টায় সেতু পাচ্ছেন শুয়াকৈরবাসী

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬২০

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রচেষ্টায় অবশেষে সেতু পাচ্ছেন প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত শুয়াকৈর সেতুটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে ছিলো প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সম্প্রতি সেতুটির ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে খুশির জোয়ার বইছে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে এ উপলক্ষে ভাঙা সেতুর নীচে শোকরানা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে এলাকাবাসী।

শোকরানা সভায় বক্তব্য রাখেন কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান মানিক প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন শুয়াকৈর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাও. আমিনুল ইসলাম।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২১ জুলাই দুপুরে বন্যার প্রবল স্রোতে শুয়াকৈর সেতুর মাঝের অংশের ৭ নম্বর পিলার এবং ৬ ও ৭ নম্বর স্প্যানের ৪০ মিটার পানির স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। এতে সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে বারবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি বিষয়টি আমলে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত ২৭ নভেম্বর (সোমবার) এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক কামরুল আহসান সেতুটির ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের অনুমোদন দেন। অনুমোদনপত্রে একইসাথে সেতুর বাকি অংশও নতুন করে সংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়।

শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শুয়াকৈর (নতুন বাজার) এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এটি নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় মাঝখানে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেতুর ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মনে আনন্দ বইছে এবং খুশিতে দোয়া ও শোকরানা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুয়াকৈর সেতু পুনঃনির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








অবশেষে এমপি মুরাদের প্রচেষ্টায় সেতু পাচ্ছেন শুয়াকৈরবাসী

আপডেটের সময় : ০৫:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রচেষ্টায় অবশেষে সেতু পাচ্ছেন প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত শুয়াকৈর সেতুটি বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে ছিলো প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সম্প্রতি সেতুটির ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এতে খুশির জোয়ার বইছে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে এ উপলক্ষে ভাঙা সেতুর নীচে শোকরানা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে এলাকাবাসী।

শোকরানা সভায় বক্তব্য রাখেন কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান মানিক প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন শুয়াকৈর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাও. আমিনুল ইসলাম।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২১ জুলাই দুপুরে বন্যার প্রবল স্রোতে শুয়াকৈর সেতুর মাঝের অংশের ৭ নম্বর পিলার এবং ৬ ও ৭ নম্বর স্প্যানের ৪০ মিটার পানির স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। এতে সরিষাবাড়ী ও মাদারগঞ্জ উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে বারবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি বিষয়টি আমলে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। গত ২৭ নভেম্বর (সোমবার) এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক কামরুল আহসান সেতুটির ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের অনুমোদন দেন। অনুমোদনপত্রে একইসাথে সেতুর বাকি অংশও নতুন করে সংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়।

শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে শুয়াকৈর (নতুন বাজার) এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এটি নির্মাণের ১৪ বছরের মাথায় মাঝখানে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের প্রচেষ্টা ও এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেতুর ভাঙা অংশ পুনঃনির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মনে আনন্দ বইছে এবং খুশিতে দোয়া ও শোকরানা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুয়াকৈর সেতু পুনঃনির্মাণের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই দরপত্র আহ্বান করা হবে।