ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামগঞ্জে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৬১

রামগঞ্জ প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাধীন লামচর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এর নারিগঠিত বিষয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান হোসেন ৬নং লামচর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, রাত ৩ টায় ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে। (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার, সরেজমিনে রসুলপুর পাটোয়ারী বাড়িতে গেলে আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়।

খবর পেয়ে উপজেলার মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ বাড়ির সাব ইন্সপেক্টর ফখরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইমরান হোসেন ও আনোয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।

এই সংবাদ উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার লামচর ইউনিয়নের মজুপুর তনুল্লা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত শহীদ আহমেদ এর ছেলে ইমরান হোসেনকে রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রিজভী হোসাইন ও ফারুক সহ স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় শ্রমিক লীগ নেতা ইমরান হোসেন এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে করবে না বলে ক্ষমা চান। ২৭ নভেম্বর, সকাল ১১টায় “Harun Harun” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও প্রকাশ করে। পরে ওই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ডিলিট করে দেয়।

এই ঘটনায় আনোয়ারা বেগম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিজভী হোসাইন জানান, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে ইমরান ও আনোয়ারা বেগমকে হাতে নাতে আটক করি। পরে পুলিশকে ফোন দিলে এসে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। এর আগেও শ্রমিক লীগ নেতা ইমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ফজরের নামাজের আগে পার্শ্ববর্তী নোয়া বাড়ির জাকির ড্রাইভারের সাথে দেখা করতে তার বাড়ির সামনে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রিজভী, ফারুক সহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক রসুলপুর আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে।

এই ব্যাপারে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ মমিন উল্লাহ জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাৎক্ষণিক ইমরান ও ওই নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে স্থানীয় ইউছুফ মেম্বারের জিম্মায় ইমরান ও ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তদন্ত চলতেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








রামগঞ্জে শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

আপডেটের সময় : ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

রামগঞ্জ প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাধীন লামচর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এর নারিগঠিত বিষয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান হোসেন ৬নং লামচর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, রাত ৩ টায় ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে। (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার, সরেজমিনে রসুলপুর পাটোয়ারী বাড়িতে গেলে আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়।

খবর পেয়ে উপজেলার মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ বাড়ির সাব ইন্সপেক্টর ফখরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইমরান হোসেন ও আনোয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।

এই সংবাদ উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার লামচর ইউনিয়নের মজুপুর তনুল্লা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত শহীদ আহমেদ এর ছেলে ইমরান হোসেনকে রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী রসুলপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রিজভী হোসাইন ও ফারুক সহ স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় শ্রমিক লীগ নেতা ইমরান হোসেন এমন কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে করবে না বলে ক্ষমা চান। ২৭ নভেম্বর, সকাল ১১টায় “Harun Harun” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও প্রকাশ করে। পরে ওই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিও ডিলিট করে দেয়।

এই ঘটনায় আনোয়ারা বেগম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিজভী হোসাইন জানান, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে ইমরান ও আনোয়ারা বেগমকে হাতে নাতে আটক করি। পরে পুলিশকে ফোন দিলে এসে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। এর আগেও শ্রমিক লীগ নেতা ইমরান হোসেন এর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ফজরের নামাজের আগে পার্শ্ববর্তী নোয়া বাড়ির জাকির ড্রাইভারের সাথে দেখা করতে তার বাড়ির সামনে গেলে ছাত্রলীগ নেতা রিজভী, ফারুক সহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক রসুলপুর আনোয়ারা বেগমের বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে।

এই ব্যাপারে মোহাম্মদীয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ মমিন উল্লাহ জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাৎক্ষণিক ইমরান ও ওই নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে স্থানীয় ইউছুফ মেম্বারের জিম্মায় ইমরান ও ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় তদন্ত চলতেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।