ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছোট স্ত্রী’র পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কলাপাড়ায় সাইদুল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার অভিযোগ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬৬৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত সাইদুল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের ছোট স্ত্রী খাদিজার পরিবার।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাইদুলের ছোট স্ত্রী খাদিজার ‘মা’ নুর নাহার বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় বোন লাইজু বেগম (২৮)।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কলাপাড়া উপজেলার মধ্য টিয়াখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী সরদারের ছেলে সাইদুল (৩৮) র্দুবৃত্তের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা বেগম তার স্বামী সাইদুলের বসত বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। এমনকি খুনিরা খাদিজার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে ও কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে এবং ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায়। পরে আহত খাদিজা ০৯-০৯-২০২৩ তারিখ থেকে ১৬-০৯-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। মর্মান্তিক ঘটনার শিকার খাদিজা মানসিকভাবে পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান খাদিজার পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদিজা বেগমকে প্রায় এক বছর আগে অতিআগ্রহ দেখিয়ে ১৬ শতক জমি দিয়ে সাইদুল সরদার বিবাহ করেন। খাদিজা অসুস্থ বিধায় তার পরিবার বিবাহ দিতে রাজি না থাকলেও সাইদুল, তার মা ও পরিবারের লোকজন তাদেরকে বুঝিয়ে খাদিজাকে ডাক্তার দেখিয়ে ভালো করার কথা বলে রাজি করান। বিয়ের পর সাইদুলের ১ম স্ত্রী কাকলী বেগম কখনো খাদিজাকে মেনে নিতে পারেনি। এমনকি প্রথম স্ত্রী কাকলী সাইদুলের সাথে খাদিজার বিয়ে ভাঙ্গার জন্য বহুবার অপচেষ্টা চালায়। ফলে সাইদুল সরদার তার প্রথম স্ত্রী কাকলী ও তার পরিবারের চাপে খাদিজাকে দেয়া জমি ফিরিয়ে নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। জমি বিক্রির টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খাদিজাকে দেওয়ার কথা বললে সাইদুলের ১ম স্ত্রী কাকলী বেগম প্রতিবাদ করেন।

তারা সাইদুল হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শ্বাস্তি দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, সাইদুল হত্যার ঘটনায় সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় হয়েছে খাদিজা বেগম। সাইদুলের জমি বিক্রির টাকা তার ব্যাংক একাউন্টটে জমা রয়েছে। উক্ত টাকা এবং সকল সম্পত্তির প্রায় সকল অংশই পাবে তার ১ম স্ত্রী কাকলী ও তার ৩ কন্যা, মা ও ভাই-বোন। খাদিজাকে তার স্বামী সাইদুল খুব ভালোবাসতো। স্বামীকে হারিযে খাদিজা আজ বিধবা। মিথ্যা মামলায় জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতনসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিন্তু এই মর্মান্তিক ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর কাকলী বেগম, তার পরিবার এবং একটি  কুচক্রী মহল হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে পরিবারটি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদিজার পিতা আঃ আজিজ হাওলাদার, চাচী জয়নব বিবি, খালা ফাতেমা বেগম, ফুপু মর্তুজান বিবি ও চাচী হ্যাপী বেগম প্রমুখ।



নিউজটি শেয়ার করুন








ছোট স্ত্রী’র পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

কলাপাড়ায় সাইদুল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার অভিযোগ

আপডেটের সময় : ০২:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আলোচিত সাইদুল হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের ছোট স্ত্রী খাদিজার পরিবার।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাইদুলের ছোট স্ত্রী খাদিজার ‘মা’ নুর নাহার বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় বোন লাইজু বেগম (২৮)।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কলাপাড়া উপজেলার মধ্য টিয়াখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী সরদারের ছেলে সাইদুল (৩৮) র্দুবৃত্তের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা বেগম তার স্বামী সাইদুলের বসত বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। এমনকি খুনিরা খাদিজার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে ও কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে এবং ধর্ষণের অপচেষ্টা চালায়। পরে আহত খাদিজা ০৯-০৯-২০২৩ তারিখ থেকে ১৬-০৯-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। মর্মান্তিক ঘটনার শিকার খাদিজা মানসিকভাবে পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান খাদিজার পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদিজা বেগমকে প্রায় এক বছর আগে অতিআগ্রহ দেখিয়ে ১৬ শতক জমি দিয়ে সাইদুল সরদার বিবাহ করেন। খাদিজা অসুস্থ বিধায় তার পরিবার বিবাহ দিতে রাজি না থাকলেও সাইদুল, তার মা ও পরিবারের লোকজন তাদেরকে বুঝিয়ে খাদিজাকে ডাক্তার দেখিয়ে ভালো করার কথা বলে রাজি করান। বিয়ের পর সাইদুলের ১ম স্ত্রী কাকলী বেগম কখনো খাদিজাকে মেনে নিতে পারেনি। এমনকি প্রথম স্ত্রী কাকলী সাইদুলের সাথে খাদিজার বিয়ে ভাঙ্গার জন্য বহুবার অপচেষ্টা চালায়। ফলে সাইদুল সরদার তার প্রথম স্ত্রী কাকলী ও তার পরিবারের চাপে খাদিজাকে দেয়া জমি ফিরিয়ে নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ৩০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। জমি বিক্রির টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা খাদিজাকে দেওয়ার কথা বললে সাইদুলের ১ম স্ত্রী কাকলী বেগম প্রতিবাদ করেন।

তারা সাইদুল হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শ্বাস্তি দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, সাইদুল হত্যার ঘটনায় সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় হয়েছে খাদিজা বেগম। সাইদুলের জমি বিক্রির টাকা তার ব্যাংক একাউন্টটে জমা রয়েছে। উক্ত টাকা এবং সকল সম্পত্তির প্রায় সকল অংশই পাবে তার ১ম স্ত্রী কাকলী ও তার ৩ কন্যা, মা ও ভাই-বোন। খাদিজাকে তার স্বামী সাইদুল খুব ভালোবাসতো। স্বামীকে হারিযে খাদিজা আজ বিধবা। মিথ্যা মামলায় জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতনসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কিন্তু এই মর্মান্তিক ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর কাকলী বেগম, তার পরিবার এবং একটি  কুচক্রী মহল হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে পরিবারটি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদিজার পিতা আঃ আজিজ হাওলাদার, চাচী জয়নব বিবি, খালা ফাতেমা বেগম, ফুপু মর্তুজান বিবি ও চাচী হ্যাপী বেগম প্রমুখ।