ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়তলীতে ৩ নারীকে বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি, গ্রেপ্তার-১

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:৩৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / ৬৭৮

তামরিন মোহাম্মদ ফয়সাল, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ নগরীর পাহাড়তলীতে ভাড়া বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শাহনাজ বেগম (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় আটকে রাখা আরও তিন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহনাজ বেগম ভুজপুর থানার হিয়াকু বাজার মোহাম্মদপুরের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। রবিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাঁচা মিয়া রোডের একটি বাড়ির ৪র্থ তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, গত ৩ মাস ধরে ওই বাসায় মেয়েদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করছিল শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল সেই বাসায় চিৎকার শুনে ৯৯৯ এ ফোন দেয় পার্শ্ববর্তী একলোক। পরে আমরা গিয়ে তিন মেয়েকে উদ্ধার করি। এছাড়া শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করি। তবে তার স্বামী জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে শাহনাজ জানায়, তার স্বামী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে মেয়েদের তাদের বাসায় নিয়ে আসে। পরে সে আর তার স্বামী মিলে তাদেরকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। তারা প্রায় ৩ বছর ধরে এই কাজের সাথে জড়িত এবং তারা কিছুদিন পরপর বাসা পরিবর্তন করে বিল্ডিংয়ের মালিক অথবা বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারের সাথে সখ্যতা করে এই কাজ পরিচালনা করে আসছে। এই বিষয়ে পাহাড়তলী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা রুজু হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








পাহাড়তলীতে ৩ নারীকে বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি, গ্রেপ্তার-১

আপডেটের সময় : ১২:৩৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

তামরিন মোহাম্মদ ফয়সাল, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ নগরীর পাহাড়তলীতে ভাড়া বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শাহনাজ বেগম (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় আটকে রাখা আরও তিন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহনাজ বেগম ভুজপুর থানার হিয়াকু বাজার মোহাম্মদপুরের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। রবিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাঁচা মিয়া রোডের একটি বাড়ির ৪র্থ তলার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, গত ৩ মাস ধরে ওই বাসায় মেয়েদের আটকে রেখে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করছিল শাহনাজ বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম। গতকাল সেই বাসায় চিৎকার শুনে ৯৯৯ এ ফোন দেয় পার্শ্ববর্তী একলোক। পরে আমরা গিয়ে তিন মেয়েকে উদ্ধার করি। এছাড়া শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করি। তবে তার স্বামী জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে শাহনাজ জানায়, তার স্বামী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে মেয়েদের তাদের বাসায় নিয়ে আসে। পরে সে আর তার স্বামী মিলে তাদেরকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। তারা প্রায় ৩ বছর ধরে এই কাজের সাথে জড়িত এবং তারা কিছুদিন পরপর বাসা পরিবর্তন করে বিল্ডিংয়ের মালিক অথবা বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারের সাথে সখ্যতা করে এই কাজ পরিচালনা করে আসছে। এই বিষয়ে পাহাড়তলী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা রুজু হয়েছে।