ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফোন পেয়েই রাতের আধারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির মহিপুর থানার ওসি

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • / ৮১৪

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভার বাবুল মৃধা একজন চা বিক্রেতা। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার চলে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে সংসারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। কোনো রকম খেয়ে–না খেয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাদের।

তাদের এই দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে প্রতিবেশী ও গণমাধ্যমকর্মী বাবু অনন্ত মূখার্জী মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানকে জানান। সব জেনে তাৎক্ষণিক ১০ জুলাই শনিবার রাত ১০ টার সময় খাদ্য সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন ওসি নিজেই।

এসময় একই সাথে করোনার কারণে কাজ হারানো কুয়াকাটা সৈকতের ক্যামেরাম্যান জহির এবং হোটেলে রান্নার কাজে নিয়োজিত রেহানা বেগমের পরিবারের মাঝেও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবার পায়- ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি পেঁয়াজ।

খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি পরিবার ৩টি। তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা গৃহবন্দি, কোনো কাজকর্ম নেই। সরকারের কোনো সহায়তাও তেমনভাবে পাইনা। আমাদের এই অবস্থার কথা শুনে ওসি নিজেই খাবার নিয়ে চলে এসেছেন। এই খাবার দিয়ে আমাদের পরিবার ১০ দিন খেয়ে থাকতে পারবে।’

এসময় মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানতে পারি আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তারা। রাতেই কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের বাসায় দিয়ে আসি।’

তিনি এই দুঃসময়ে কেউ যাতে কষ্টে না থাকে এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য এবং এই ক্রান্তিলগ্নে সমাজের বিত্তবানদের সবার আগে এসব মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।



নিউজটি শেয়ার করুন








ফোন পেয়েই রাতের আধারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির মহিপুর থানার ওসি

আপডেটের সময় : ১১:৪৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটা পৌরসভার বাবুল মৃধা একজন চা বিক্রেতা। চায়ের দোকানের আয় দিয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ পাঁচজনের সংসার চলে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে সংসারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন চায়ের দোকানটিও বন্ধ হয়ে যায়। কোনো রকম খেয়ে–না খেয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাদের।

তাদের এই দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে প্রতিবেশী ও গণমাধ্যমকর্মী বাবু অনন্ত মূখার্জী মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানকে জানান। সব জেনে তাৎক্ষণিক ১০ জুলাই শনিবার রাত ১০ টার সময় খাদ্য সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন ওসি নিজেই।

এসময় একই সাথে করোনার কারণে কাজ হারানো কুয়াকাটা সৈকতের ক্যামেরাম্যান জহির এবং হোটেলে রান্নার কাজে নিয়োজিত রেহানা বেগমের পরিবারের মাঝেও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবার পায়- ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি পেঁয়াজ।

খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি পরিবার ৩টি। তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা গৃহবন্দি, কোনো কাজকর্ম নেই। সরকারের কোনো সহায়তাও তেমনভাবে পাইনা। আমাদের এই অবস্থার কথা শুনে ওসি নিজেই খাবার নিয়ে চলে এসেছেন। এই খাবার দিয়ে আমাদের পরিবার ১০ দিন খেয়ে থাকতে পারবে।’

এসময় মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানতে পারি আয় না থাকায় খাবারের কষ্টে আছেন তারা। রাতেই কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের বাসায় দিয়ে আসি।’

তিনি এই দুঃসময়ে কেউ যাতে কষ্টে না থাকে এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য এবং এই ক্রান্তিলগ্নে সমাজের বিত্তবানদের সবার আগে এসব মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।