রিপোর্ট- সোহেল মাহমুদ : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ ১৩ বছর পরে মিলন আকন (৩০) নামের এক যুবককে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে নিখোঁজ মিলনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। গত দুইদিন আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে শুনতে পারে পার্শ্ববর্তী জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলায় রাস্তায় তাকে পাগল বশে দেখতে পেয়েছে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে তালতলীতে গিয়ে মিলনের মা মিনারা বেগম ও ভাই রুবেল আকন তার পরিচয় নিশ্চিত করে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে বাড়িতে নিয়ে আসে। ফিরে আসা মিলন আকন কুয়াকাটা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শাহ-আলম আকনের বড় ছেলে।

মিলনের বাবা শাহ-আলম আকন ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘আমার ছেলে মিলন ২০০৮ সালে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার সাথে আরো ফারুক (১২), খোকন (২৫) নামে দু’জন ছিল কেউই ফেরেনি, অনেক খোঁজাখুঁজ করেছি তাদেরকে। হঠাৎ দু’দিন হলো শুনতে পেয়েছি আমার ছেলে মিলনকে নাকি পাওয়া গেছে তালতলী। পরে ওর মা গিয়ে নিয়ে আসছে এবং এটা যে আমার ছেলে তা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত।’

মিলনের মা মিনারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে আমি দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার বুকে ফিরে পেয়েছি। আমি অনেকদিন এই সাগরের পাড়ে পাড়ে ছেলের খোঁজে দিন-রাত কাটিয়েছি। আজ আমার আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই, আমার ছেলেটা এখন মানসিক অসুস্থ। আমি এখন ওরে চিকিৎসা করাবো ও সুস্থ হলে বলতে পারবো ও এতদিন কোথায় ছিল।’

কুয়াকাটা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মনির শরীফ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের মিলন নামের একটি ছেলে গত ’০৮ সালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। আজকে তাকে তার পরিবার তালতলী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছে। তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন তার গায়ে থাকা যে কাটা দাগের কথা বলতেছে তা পুরোপুরি মিলছে এবং তার সাথে কাজ করা জেলেদের মাধ্যমে আমি মিলনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।’

মিলনকে ফিরে পেয়ে তার পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইলেও তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে কিছুটা চিন্তিতও তারা।