মনে পড়ে : বিশ্বজিৎ কুমার ধর

- আপডেটের সময় : ০৪:০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
- / ৭২৮
মনে পড়ে
বিশ্বজিৎ কুমার ধর
===============
খুব মনে পড়ে সেদিনের সেই শুভ লগ্ন-
যেদিন তোমার আমার অগোছালো পরিচয়।
তারই সূত্র ধরে কোনো এক সন্ধিক্ষণে,
আমাদের দু’জনকে দু’জনার ভালো লাগার জন্ম।
সেই ভালোলাগা থেকে অফুরন্ত শিহরণে বুকের জমিনে-
নিঃসীম মানস আঙ্গিনায় উত্থিত হলো এক অতি চেনা
অথচ রহস্যাবৃত এক বৃক্ষ, লোকে বলে ভালোবাসা তার নাম।
সময়ের দূরন্তপনায় একদা ভালোবাসা
নামক বৃক্ষটিতে কড়ি ফুটতে শুরু করলো;
অত:পর কড়ি থেকে পেলাম সুবাসিত ফুল।
আমি আর তুমি-
তার রূপ রস গন্ধে মুগ্ধ থেকে মুগ্ধতর হলাম।
আমরা শপথ নিলাম ঐ ভালোবাসা নামক বৃক্ষের
নয়নাভিরাম পুষ্পমালা স-যত্নে দু’জনার-
হৃদয়নামক পুষ্পকুঞ্জে লালন করবো আজীবন।
কিন্তু হায়! বাস্তবতার নির্মম কষাঘাতে চুরমার হলো আমাদের দু’জনার সেদিনের……সেই দৃপ্ত শপথ।
তুমি বলেছিলে আমায়……
ভালোবাসার ফুলে যদি মালা গাঁথা হয়
তবে তোমাকেই তা দিবো আমি উপহার।
অথচ ভাবতেই আত্মায় লাগে টান।
তোমার আমার সেতুবন্ধন সেই সুগন্ধি ফুল মাড়িয়ে,
তোমাকে ছিনিয়ে নিলো এক অপরাজয়ের শক্তি।
অপ্রিয় হলেও সত্যি- নির্মম বাস্তবকে উপেক্ষা করে
আমি শত চেষ্টাতেও পারিনি, ওগো ফেরাতে তোমায়।
বিদায়ের সেই ক্ষণে দৃষ্টি বিনিময়ে তুমি কাঁদলে;
আমিও পেলাম না ফেরাতে হতাশ আর ভাঙামনে উথলে ওঠা আবেগ। পাথর চাপায় কান্নায় চৌচির আমি।
তারপর বেশ কিছু সময় অতীতের কোলে ঢলে পড়েছে।
আজ তোমার মানসিক নয় বাহ্যিক পরিবর্তন হয়েছে।
নবাগতের সেবা-যত্নে কেটে যায় তোমার সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত।
এরই মাঝে হয়তো মনে পড়ে আমাকে-
যে আমি তোমার একান্তে কাটিয়েছি দীর্ঘক্ষণ।
আজ অব্দি আমারও মনে পড়ে তোমাকে,
মনে পড়ে …আমার পবিত্র ভালোবাসাকেও।
কদাচিৎ ঘূর্ণায়মান জীবন মোড়ে
হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তোমার আমার।
চোখে চোখ পড়তেই বুকের ভেতরটা মুচড়ে ওঠে-
আমি জানি নিশ্চয়ই তোমারও মনটা হাহাকার করছে।
তুমি আজ গুণীদের মতই উপদেশ দিয়ে যাচ্ছ
আমার জীবন সাজাতে… বাহ্ বাহ্…!
কিন্তু আমার সেই ভালোবাসার ফুল…?
যা দিয়ে সাজাতে চেয়েছিলাম স্বপ্নের বাসর,
আছে কি জবাব তার?
তাই’তো বড্ড বলতে ইচ্ছে হয়, ভালো লাগা-
আর ভালোবাসা ; না পাওয়ার, বিরহের বেদনা- অনি:শেষ কষ্ট
কারো কারো জীবনকে করেছে আজ লক্ষভ্রষ্ট।