ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যাপক ক্ষতির মুখে কলাপাড়ার কৃষকরা!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৪:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৭০৮

মাহতাব হোসেন, মহিপুর-কলাপাড়া : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ঝড়ো-হাওয়া, বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে গত শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা জমির পাকা আমন ধান নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পরেছেন।

বৃষ্টির কারণে কাটা ধানগুলো পানিতে ভেসে গেছে এবং কাটা ধান ছাড়া যেগুলো ক্ষেতে রয়েছে সেগুলো প্রায় জায়গায় শুয়ে পড়েছে এবং ঝরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক ক্ষতির মুখে পরেছেন।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের অনেক ক্ষেত তলিয়ে আছে। ক্ষতির মুখে পরছে কৃষকরা। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ মৌসুমে সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখন সবজির বীজ রোপন করার পর বৃষ্টি নেমে তলিয়ে বীজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পরেছেন তারাও।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর ধ্রুববাণী’র এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাটা ধানগুলো পানিতে ভাসছে। যেগুলো আইলের উপর আছে সেগুলোতে গজ (অঙ্কুর) হয়ে গেছে এবং কাটা ধান ছাড়া যেগুলো ক্ষেতে আছে সেগুলো শুয়ে পড়েছে, ঝরে যাচ্ছে। এতে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পরেছি। তিনি আরও বলেন, সার ঔষধে এত দাম! এত কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। তাছাড়া অসময় বৃষ্টি বাদল হয়ে যে ক্ষতি হয়েছে এতে আমার আর চাষাবাদ করা সম্ভব না। এছাড়া এখনো আবহাওয়া ঠিক হয়নি। ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের সুলাইমান মিয়া একই কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৪৯২.১২২ বর্গ কিলোমিটার। ৩৫৫০০ জন কৃষক পরিবার রয়েছে। এবছর ৩৩৭২৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এরমধ্যে ২৫০১০ হেক্টর জমিতে উফশি ও ৮৭১৮ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।



নিউজটি শেয়ার করুন








ব্যাপক ক্ষতির মুখে কলাপাড়ার কৃষকরা!

আপডেটের সময় : ০৪:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

মাহতাব হোসেন, মহিপুর-কলাপাড়া : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ঝড়ো-হাওয়া, বৃষ্টি ও জোয়ারের প্রভাবে গত শনিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টির কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা জমির পাকা আমন ধান নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পরেছেন।

বৃষ্টির কারণে কাটা ধানগুলো পানিতে ভেসে গেছে এবং কাটা ধান ছাড়া যেগুলো ক্ষেতে রয়েছে সেগুলো প্রায় জায়গায় শুয়ে পড়েছে এবং ঝরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক ক্ষতির মুখে পরেছেন।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের অনেক ক্ষেত তলিয়ে আছে। ক্ষতির মুখে পরছে কৃষকরা। এ ছাড়া এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ মৌসুমে সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখন সবজির বীজ রোপন করার পর বৃষ্টি নেমে তলিয়ে বীজগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতির মুখে পরেছেন তারাও।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর ধ্রুববাণী’র এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাটা ধানগুলো পানিতে ভাসছে। যেগুলো আইলের উপর আছে সেগুলোতে গজ (অঙ্কুর) হয়ে গেছে এবং কাটা ধান ছাড়া যেগুলো ক্ষেতে আছে সেগুলো শুয়ে পড়েছে, ঝরে যাচ্ছে। এতে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পরেছি। তিনি আরও বলেন, সার ঔষধে এত দাম! এত কষ্ট করে ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। তাছাড়া অসময় বৃষ্টি বাদল হয়ে যে ক্ষতি হয়েছে এতে আমার আর চাষাবাদ করা সম্ভব না। এছাড়া এখনো আবহাওয়া ঠিক হয়নি। ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের সুলাইমান মিয়া একই কথা বলেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর আয়তন ৪৯২.১২২ বর্গ কিলোমিটার। ৩৫৫০০ জন কৃষক পরিবার রয়েছে। এবছর ৩৩৭২৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এরমধ্যে ২৫০১০ হেক্টর জমিতে উফশি ও ৮৭১৮ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা।