ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক ট্রিপে ৬৫ মণ ইলিশ, বিক্রি প্রায় ৪০ লাখে

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৭৭১

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রিপেই ৬৫ মণ ইলিশ শিকার করে ফিরেছে এফবি সাদিয়া-২ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব ইলিশ আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মেসার্স খান ফিস আড়তে আনা হলে নিলামের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

জানা গেছে, ট্রলারটি গত ৯ জুলাই আলিপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলেকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ দিকে সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে জাল ফেললে ধরা পড়ে বিপুল পরিমাণ রূপালি ইলিশ। ওজন অনুযায়ী মাছগুলো তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে বিক্রি করা হয়।

ট্রলারের মাঝি মো. শাহাবুদ্দিন জানান, ‘৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রে যাই। মাঝপথে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার বিপদে পড়তে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো মাছ পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, সবার মুখে হাসি ফিরেছে।’

আড়তের ব্যবস্থাপক মো. সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেকদিন পর জেলেরা এমন ভালো মাছ পেল। এতে তারা কিছুটা হলেও আগের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে জেলেরা বিপাকে ছিলেন। এখন তারা ভালো পরিমাণে মাছ পাচ্ছেন। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফল বলা যায়।’



নিউজটি শেয়ার করুন








এক ট্রিপে ৬৫ মণ ইলিশ, বিক্রি প্রায় ৪০ লাখে

আপডেটের সময় : ০৫:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক ট্রিপেই ৬৫ মণ ইলিশ শিকার করে ফিরেছে এফবি সাদিয়া-২ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব ইলিশ আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মেসার্স খান ফিস আড়তে আনা হলে নিলামের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়।

জানা গেছে, ট্রলারটি গত ৯ জুলাই আলিপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলেকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ দিকে সমুদ্রের বিভিন্ন পয়েন্টে জাল ফেললে ধরা পড়ে বিপুল পরিমাণ রূপালি ইলিশ। ওজন অনুযায়ী মাছগুলো তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে বিক্রি করা হয়।

ট্রলারের মাঝি মো. শাহাবুদ্দিন জানান, ‘৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রে যাই। মাঝপথে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার বিপদে পড়তে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো মাছ পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, সবার মুখে হাসি ফিরেছে।’

আড়তের ব্যবস্থাপক মো. সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেকদিন পর জেলেরা এমন ভালো মাছ পেল। এতে তারা কিছুটা হলেও আগের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে জেলেরা বিপাকে ছিলেন। এখন তারা ভালো পরিমাণে মাছ পাচ্ছেন। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফল বলা যায়।’