কলাপাড়ায় শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

- আপডেটের সময় : ০৫:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৬৫৫
কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দৌলতপুর ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা নিয়োগ বাণিজ্যের মামলা প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে মাদরাসার সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাদরাসা প্রাঙ্গণে ২ ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মাদরাসার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকদের অফিস রুমে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে দ্রুত তার মুক্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত হুজুরকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি একজন সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত তার মুক্তি চাই।’
বিক্ষোভের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীদের সমঝোতার মাধ্যমে অফিস রুমের তালা খুলে দেন। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের মাহবুব এলাহী নামের এক ব্যক্তি কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, তিনি চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি একটি সাজানো মামলা, যা একজন সৎ শিক্ষকের সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টা।
মামলার শুনানিতে গতকাল মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই খবর জানার পর থেকেই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষককে মুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে।