ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে শিক্ষার্থী‌দের বিক্ষোভের মুখে ইউএনওকে অপসারণ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬৩২

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর বাউফলে সাধারণ শিক্ষার্থী‌দের বিক্ষোভের মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজীকে অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তার অপসারণের দাবিতে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে ছাত্র সমাজ। এ সময়ে সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

ছাত্র সমাজের দাবি, উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার এবং তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্যাসিবাদের দোসর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন। এরপরে ৪ দফায় তার বদলির আদেশ হলেও একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বারবার এই আদেশ স্থগিত হয়।

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা মো. বশির গাজীর বদলি ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে সেই বিশেষ মহল ছাত্র প্রতিনিধিদের একাংশকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে আন্দোলন বন্ধের অপচেষ্টা করে। আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থীরা র‌বিবার ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ‌্যমে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা ক‌রে। তবে এ সিদ্ধান্ত আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ফের আন্দোলন করে।

সর্বশেষ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনওকে অপসারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিলের মধ্যদিয়ে তা‌দের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করে।



নিউজটি শেয়ার করুন



বাউফলে শিক্ষার্থী‌দের বিক্ষোভের মুখে ইউএনওকে অপসারণ

আপডেটের সময় : ১১:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর বাউফলে সাধারণ শিক্ষার্থী‌দের বিক্ষোভের মুখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজীকে অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তার অপসারণের দাবিতে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে ছাত্র সমাজ। এ সময়ে সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

ছাত্র সমাজের দাবি, উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার এবং তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্যাসিবাদের দোসর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন। এরপরে ৪ দফায় তার বদলির আদেশ হলেও একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বারবার এই আদেশ স্থগিত হয়।

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা মো. বশির গাজীর বদলি ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে সেই বিশেষ মহল ছাত্র প্রতিনিধিদের একাংশকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে আন্দোলন বন্ধের অপচেষ্টা করে। আন্দোলনরত ওই শিক্ষার্থীরা র‌বিবার ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ‌্যমে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা ক‌রে। তবে এ সিদ্ধান্ত আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ফের আন্দোলন করে।

সর্বশেষ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনওকে অপসারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিলের মধ্যদিয়ে তা‌দের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করে।