কবি :সোহরাব হোসেন- এর কবিতা “পত্রালাপ”

- আপডেটের সময় : ০৭:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৭০৪
আজ বিশ্ব চিঠি দিবস উপলক্ষে লেখাঃ-
” পত্রালাপ “🌿
সোহরাব হোসেন
প্রিয় সুহৃদ, দীর্ঘ সময় পরে
হৃদয় চিত্তে উদিত হচ্ছে আজ
তোমার দেওয়া কিঞ্চিৎ স্মৃতি!
মনের অগোচরে হঠাৎ যেন
কোন এক আত্মা বলে উঠছে,
ভালোবাসি, অজস্র ভালোবাসি।
তুমি অনুমান করো কি না?
তাও আমি কখনো চিন্তার মহড়াতে ভাবি না?
তবে এ হৃদয়ের অনুভূতিতে নাড়াচাড়া ও
ঢেউয়ের কলতানে বারবার মনে হচ্ছে,
আমি আজও তোমাকেই ভালোবাসি!
হয়তো আমাদের মধ্যে বিরাজ করছে
অসম চুক্তিতে বিস্তর ব্যবধান।
ব্যবধানের মায়ার জালে আবদ্ধ আমরা
এবং আমাদের হৃদয় পাখি।
যেন নিশ্চিত দুই মেরু-ধরা ছোঁয়ার বাইরে,
অন্ধকার সম।
তুমি কি জানো? এখনও কারণে অকারণে
অজান্তেই হৃদয় আকাশে জমে যায় কালো মেঘে! নিমিষেই চোখের কোণে ঝরে জল।
মনে হয়,—
এ যেন এক জেলখানার নির্মিত উঁচু দেয়াল।
ঠিক দু’পাশে দুজনের বাস,
দেখা হওয়াটাও অবিশ্বাস্য!
তুমি দেখে চলছ নির্বাক!
তোমার নিস্তব্ধতা,নিশ্চুপ ভাবনা আমার অবুঝ মনোবাসনা কে আরও বিমূর্ত রূপে বিমর্ষ করে।
তুমি পত্রের অনুভূতি কেমন অনুভব করছ,
তা আমি দেখতে পাচ্ছি না।
তবে এ দুঃখ যাতনা যে পাহাড় সম!
শুধু শুধু বেলা অবেলায় চাতকের তৃষ্ণায় জাগ্রত । অজান্তেই মানসিক ঝরে এলোমেলো সব!
ক্ষনিকেই স্মরণে আসে-
একবার ছুঁয়ে দেখি তোমায়!
তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল প্রায়,
দক্ষিণা আকাশে একটু একটু করে
মেঘ জমতে শুরু করছে।
স্টেশনে বেশ কোলাহল জনাকীর্ণ
ট্রেনে উঠার ঠিক আগ মহুুর্তে
হঠাৎ দু’জন দুজনের মুখোমুখি!
কি বলবো?কেমন হবে কুশল বিনিময়?
কোন কিছুই মনে পড়ছে না!
ওদিকে সবাই ট্রেনের সিট দখলে ব্যস্ত,
তাই আনমনে উঠে পড়লাম ট্রেনে।
ট্রেন তার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করলো,
জানালার ঝিরিঝিরি বাতাসে ঠান্ডা শিহরণ,
ভেসে গেল সব আবেগের ঘনঘটা ।
কেন জানি বার বার বিচ্ছেদের লাল চিহ্নে?
বন্ধি এ হৃদয় ;
আমি প্রত্যেহ মাঝরাতে
অনুভবে পাই তোমায়! ভাবি,
কেটে যাবে হয়তো –বিরহ যন্ত্রণা
আবারও বইবে বসন্তের সুবাতাস,
বইবে তোমার আমার কোন স্বপ্নীল ফাগুন।
ফুটবে আবারও রঙিন প্রচ্ছদে
বর্ণিল প্রজাতের ফুল।
আবারও নবরুপে দেখা হবে দুজনের,
প্রতিক্ষাতে রইলাম —
সেদিন আচমকাই দুঠোঁটের মাঝখানে
বলে উঠবে, ভালোবাসি,
তোমায় ভালোবাসি!
সারিয়াকান্দি, বগুড়া।