ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে বন্ধ হলো বিদ্যালয় ভবনের সেই গেস্ট হাউস

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৪:২০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • / ৬৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়াকাটাঃ কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের ভবনের গেস্ট হাউজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এই ভবনকে গেস্ট হাউজ বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দিচ্ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (১০ জুলাই) বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে গেস্ট হাউসটি বন্ধ করে দেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

জান যায়, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ সুনামের সঙ্গেই শিক্ষা দিয়ে আসছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটি ভবন গেস্ট হাউজ বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়া হচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকরা নিজেরাই ৫০ হাজার টাকা করে শেয়ার নির্ধারণ করে, ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজে রুপান্তরিত করে। আদায়কৃত ভাড়া শেয়ার অনুযায়ী বণ্টন করা হয়।

রোববার (৯ জুলাই) রাতে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাওছার তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। আর এ থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘মূলত বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তারা কুয়াকাটায় আসেন, তাদের জন্য অনেক সময় রুম পাওয়া যায় না সে কারণে গেস্ট হাউজ হিসেবে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনও সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেয়া হয় না।

এ ছাড়া তিনি দাবি করেন বিদ্যালয়টির মোট চারটি কক্ষকে গেস্ট হাউজ বানানো হয়েছে যার দুটি কক্ষে দুইজন শিক্ষক নিয়মিতভাবে থাকছেন এবং দুটি কক্ষে অতিথিরা আসলে তারা থাকেন। তবে একটি বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ বানানোর কোন আইনগত ভিত্তি আছে কিনা। এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।

সোমবার (১০ জুলাই) কলাপাড়া নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গেস্ট হাউজটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ করার কোনো সুযোগ নেই। এমনটি হয়ে থাকলে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








অবশেষে বন্ধ হলো বিদ্যালয় ভবনের সেই গেস্ট হাউস

আপডেটের সময় : ০৪:২০:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়াকাটাঃ কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের ভবনের গেস্ট হাউজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এই ভবনকে গেস্ট হাউজ বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দিচ্ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (১০ জুলাই) বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে গেস্ট হাউসটি বন্ধ করে দেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

জান যায়, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ সুনামের সঙ্গেই শিক্ষা দিয়ে আসছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের একটি ভবন গেস্ট হাউজ বানিয়ে নিয়মিত পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়া হচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকরা নিজেরাই ৫০ হাজার টাকা করে শেয়ার নির্ধারণ করে, ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজে রুপান্তরিত করে। আদায়কৃত ভাড়া শেয়ার অনুযায়ী বণ্টন করা হয়।

রোববার (৯ জুলাই) রাতে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কাওছার তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন। আর এ থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘মূলত বিভিন্ন সময় শিক্ষা বিভাগ থেকে অনেক কর্মকর্তারা কুয়াকাটায় আসেন, তাদের জন্য অনেক সময় রুম পাওয়া যায় না সে কারণে গেস্ট হাউজ হিসেবে কয়েকটি রুম করা হয়েছে। এগুলো কখনও সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেয়া হয় না।

এ ছাড়া তিনি দাবি করেন বিদ্যালয়টির মোট চারটি কক্ষকে গেস্ট হাউজ বানানো হয়েছে যার দুটি কক্ষে দুইজন শিক্ষক নিয়মিতভাবে থাকছেন এবং দুটি কক্ষে অতিথিরা আসলে তারা থাকেন। তবে একটি বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ বানানোর কোন আইনগত ভিত্তি আছে কিনা। এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।

সোমবার (১০ জুলাই) কলাপাড়া নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গেস্ট হাউজটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমকে গেস্ট হাউজ করার কোনো সুযোগ নেই। এমনটি হয়ে থাকলে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।