ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিতা- দুঃসহ স্মৃতি : মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৮:১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • / ৭১৭

দুঃসহ স্মৃতি
মোঃ বেল্লাল হাওলাদার
==================

সেদিন ঘাতকের দল মুখোশ এঁটে লুকিয়েছিলো
ঘন অন্ধকারের আড়ালে সবার অগোচরে
হায়েনার মেশিনগানের ঝাঁকঝাঁক গুলি ছুটে এলো
ফজরের আজানের ধ্বনিকে বিদীর্ণ করে‌ ৩২ নম্বরে
মুহূর্তেই ধ্বংসাত্মক মৃত্যুপুরী হয়ে যায় স্বপ্নের বাড়িটা।

কর্মক্লান্ত ঘুমিয়েছিলেন বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান
আরাধ্য পুরুষ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিব
তাঁর ভাষণের কম্পনে কেঁপেছিলো বিশ্ব দরবার,
আঙ্গুলের ব্যক্তিত্বে মেতে উঠেছিলো বাংলার জনতা
অথচ হঠাৎ হামলে পরে হত্যা করা হয় স্বপরিবারে।

কি বীভৎসতা! রক্তে রঞ্জিত,প্লাবিত সুনসান নীরবতা
পুরো বাড়ি জুড়ে লাশের মিছিল-শোকের ছায়া
মগজ-হাড়ের গুড়ো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে
দেয়ালে দেয়ালে, মেঝেতে মেঝেতে, বাসার ছাদে
যেন রক্তগঙ্গা বইছে ঢাকার পিচ ঢালা রোডে।

চেক লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবিতে স্বাধীনতার মহানায়ক
বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হওয়া বুক-নিথর দেহ
যেন পরে আছে রক্তের সাগরের মাঝখানে
পাশেই তাঁর কালো ফ্রেমের ভাঙ্গা চশমা
অতিপ্রিয় তামাকের পাইপ-আসবাপত্র।

নেই ৭ই মার্চের সেই তর্জনীর চিহ্নটুকুও
বেগম মুজিবসহ সবার রক্তাপ্লুত মৃতদেহ
ক্ষত-বিক্ষত পরে রইলো অযত্নে-অবহেলায়
রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।

বাঁচার জন্য শত আহাজারি-আর্তচিৎকার
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের
মর্মান্তিক মিনতি ‘আমি মায়ের কাছে যাবো‌’
নিষ্ঠুর, পাষণ্ড ঘাতকের হৃদয়ে দয়া হয়নি এতটুকু।

তাই আগস্ট এলেই দুঃসহ স্মৃতি ভেসে ওঠে
বাঙালিকে করে তোলে রক্তাক্ত আর বিষণ্ণ।
আজও স্তম্ভিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে ইতিহাসের
জঘন্যতম ও অভিশপ্ত সেই অধ্যায়ের দিনটি।



নিউজটি শেয়ার করুন








কবিতা- দুঃসহ স্মৃতি : মোঃ বেল্লাল হাওলাদার

আপডেটের সময় : ০৮:১২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

দুঃসহ স্মৃতি
মোঃ বেল্লাল হাওলাদার
==================

সেদিন ঘাতকের দল মুখোশ এঁটে লুকিয়েছিলো
ঘন অন্ধকারের আড়ালে সবার অগোচরে
হায়েনার মেশিনগানের ঝাঁকঝাঁক গুলি ছুটে এলো
ফজরের আজানের ধ্বনিকে বিদীর্ণ করে‌ ৩২ নম্বরে
মুহূর্তেই ধ্বংসাত্মক মৃত্যুপুরী হয়ে যায় স্বপ্নের বাড়িটা।

কর্মক্লান্ত ঘুমিয়েছিলেন বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান
আরাধ্য পুরুষ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিব
তাঁর ভাষণের কম্পনে কেঁপেছিলো বিশ্ব দরবার,
আঙ্গুলের ব্যক্তিত্বে মেতে উঠেছিলো বাংলার জনতা
অথচ হঠাৎ হামলে পরে হত্যা করা হয় স্বপরিবারে।

কি বীভৎসতা! রক্তে রঞ্জিত,প্লাবিত সুনসান নীরবতা
পুরো বাড়ি জুড়ে লাশের মিছিল-শোকের ছায়া
মগজ-হাড়ের গুড়ো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে
দেয়ালে দেয়ালে, মেঝেতে মেঝেতে, বাসার ছাদে
যেন রক্তগঙ্গা বইছে ঢাকার পিচ ঢালা রোডে।

চেক লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবিতে স্বাধীনতার মহানায়ক
বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হওয়া বুক-নিথর দেহ
যেন পরে আছে রক্তের সাগরের মাঝখানে
পাশেই তাঁর কালো ফ্রেমের ভাঙ্গা চশমা
অতিপ্রিয় তামাকের পাইপ-আসবাপত্র।

নেই ৭ই মার্চের সেই তর্জনীর চিহ্নটুকুও
বেগম মুজিবসহ সবার রক্তাপ্লুত মৃতদেহ
ক্ষত-বিক্ষত পরে রইলো অযত্নে-অবহেলায়
রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।

বাঁচার জন্য শত আহাজারি-আর্তচিৎকার
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের
মর্মান্তিক মিনতি ‘আমি মায়ের কাছে যাবো‌’
নিষ্ঠুর, পাষণ্ড ঘাতকের হৃদয়ে দয়া হয়নি এতটুকু।

তাই আগস্ট এলেই দুঃসহ স্মৃতি ভেসে ওঠে
বাঙালিকে করে তোলে রক্তাক্ত আর বিষণ্ণ।
আজও স্তম্ভিত ও ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে ইতিহাসের
জঘন্যতম ও অভিশপ্ত সেই অধ্যায়ের দিনটি।