ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমে উঠতে শুরু করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০২:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১২৩১

রিপোর্ট- মোঃ বেল্লাল হাওলাদারঃ বাংলা একাডেমি আয়োজিত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩। বই প্রেমীদের প্রচুর ভিড় জমে উঠতে শুরু করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা বই মেলায়। গতকাল শুক্রবার প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় বেলা বাড়ার সাথে সাথেই স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে বাড়তে শুরু করে লেখক- পাঠক দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে আসছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু কিশোরের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। লোকে লোকারণ্য ছিল একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গন।

ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয় বেলা ১১টা‌য়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। তাই সকাল থেকে শুরু হয় বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখে বই কিনছেন তারা। আবার কেউ কে বই কিনেছে রং-বেরংয়ের। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শিশুতোষ বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে।

প্রিয়জন সাহিত্য প্রকাশনীর স্টলে দেখা মিলে কোনাপাড়ার থেকে আগত সিমু সাকিল এর সাথে। এসেছে তার স্বামীর সাথে। স্বামী ডাঃ আব্দুল হাকিম একজন কবি, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বই আসছে তার। বইয়ের নাম আয়না ঘর পাওয়া যাচ্ছে সপ্তর্ষি প্রকাশনীতে স্টল নং ২৯৩ এ। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে উৎসাহ যোগাতে প্রতি বছর আসি বই মেলায়। ঘুরে ঘুরে দেখি ও পছন্দের লেখকের বই সংগ্রহ করে থাকি এবং সেলফি তুলি, বেশ ভালোই লাগে, আনন্দ পাই। আয়না ঘরের বইয়ের লেখক বলেন, এবার আশঙ্কা করা যায় যে, গতবছরের তুলনায় এবার বই বেশী বিক্রি হবে, কারণ গতবছরে করোনা মহামারীর কারনে তেমন জমেনি। এবার পাঠকের সাড়া পাচ্ছি। আমার এই বইটিতে নতুনত্ব খুঁজে পাবে পাঠক সমাজ আশা করি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবো।

প্রিয়জন সাহিত্য প্রকাশনীর প্রকাশক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আজ মেলায় জনসমাগম বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন।বই কিনছেন অনেকেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর করোনার কারণে তেমন ব্যবসা করতে পারিনি। এবার তা পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

গাংচিল স্টলের বিক্রেতা মাহফুজা বীনা বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তো মেলা শুরু হলো, আশা করছি এবার ভালোই বিক্রি করতে পারব।

চারু সাহিত্যাঙ্গনের প্রকাশক হাসনাত সাইফুল বলেন, আমি এবার নতুন স্টল পেয়েছি নবীন প্রবীণদের বই করেছি। আশা করছি, সময়ে সঙ্গে সঙ্গে মেলা আরও জমে উঠবে।

মুহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, অনেক আশা নিয়ে মেলায় এসেছি এবং প্রতিবছর আসি। মেলায় আমার নিজের লেখায় কয়েকটি বই রয়েছে। দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মেলায় আসছেন, স্টলে স্টলে ঘুরে দেখছেন। বেশ উৎসাহ পাচ্ছি।
কবি জামান মনির বলেন, আজকেই প্রথম মেলায় এসেছি। প্রতিবছরই আসি দু-একবার। অনেক মানুষের সমাগম দেখে খুব ভালো লাগছে। মেয়েকে নিয়ে আসতে পেরেছি এটাও একটা আনন্দের বিষয়।

এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। পছন্দের লেখককে ঘিরে দেখা গিয়েছে সেলফি তোলার হিড়িক। বিক্রেতারাও ব্যস্ত ছিল বই বিক্রিতে। অন্যপ্রকাশ, পিয়াল, মহাকাল, নব সাহিত্য, রহমানিয়া সহ বিভিন্ন স্টলে ছিলো বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে বিক্রেতারা জানান, শুরুর দিকে খুব একটা বেচাকেনা হয়নি। মেলায় আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখেছেন,আর নতুন নতুন বইয়ের খোঁজ-খবর নিয়েছেন, জেনেছেন দামও। তবে তারা আশা করেন গতবছরের তুলনায় এবার বই বেশী বিক্রি হবে।



নিউজটি শেয়ার করুন








জমে উঠতে শুরু করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা

আপডেটের সময় : ০২:২৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রিপোর্ট- মোঃ বেল্লাল হাওলাদারঃ বাংলা একাডেমি আয়োজিত ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩। বই প্রেমীদের প্রচুর ভিড় জমে উঠতে শুরু করেছে বাঙালির প্রাণের মেলা বই মেলায়। গতকাল শুক্রবার প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় বেলা বাড়ার সাথে সাথেই স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে বাড়তে শুরু করে লেখক- পাঠক দর্শনার্থীদের ভিড়। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে আসছেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশু কিশোরের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। লোকে লোকারণ্য ছিল একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গন।

ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয় বেলা ১১টা‌য়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। তাই সকাল থেকে শুরু হয় বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখে বই কিনছেন তারা। আবার কেউ কে বই কিনেছে রং-বেরংয়ের। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শিশুতোষ বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে।

প্রিয়জন সাহিত্য প্রকাশনীর স্টলে দেখা মিলে কোনাপাড়ার থেকে আগত সিমু সাকিল এর সাথে। এসেছে তার স্বামীর সাথে। স্বামী ডাঃ আব্দুল হাকিম একজন কবি, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বই আসছে তার। বইয়ের নাম আয়না ঘর পাওয়া যাচ্ছে সপ্তর্ষি প্রকাশনীতে স্টল নং ২৯৩ এ। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে উৎসাহ যোগাতে প্রতি বছর আসি বই মেলায়। ঘুরে ঘুরে দেখি ও পছন্দের লেখকের বই সংগ্রহ করে থাকি এবং সেলফি তুলি, বেশ ভালোই লাগে, আনন্দ পাই। আয়না ঘরের বইয়ের লেখক বলেন, এবার আশঙ্কা করা যায় যে, গতবছরের তুলনায় এবার বই বেশী বিক্রি হবে, কারণ গতবছরে করোনা মহামারীর কারনে তেমন জমেনি। এবার পাঠকের সাড়া পাচ্ছি। আমার এই বইটিতে নতুনত্ব খুঁজে পাবে পাঠক সমাজ আশা করি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবো।

প্রিয়জন সাহিত্য প্রকাশনীর প্রকাশক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আজ মেলায় জনসমাগম বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। বইপ্রেমীরা আসছেন, বই দেখছেন।বই কিনছেন অনেকেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর করোনার কারণে তেমন ব্যবসা করতে পারিনি। এবার তা পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

গাংচিল স্টলের বিক্রেতা মাহফুজা বীনা বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তো মেলা শুরু হলো, আশা করছি এবার ভালোই বিক্রি করতে পারব।

চারু সাহিত্যাঙ্গনের প্রকাশক হাসনাত সাইফুল বলেন, আমি এবার নতুন স্টল পেয়েছি নবীন প্রবীণদের বই করেছি। আশা করছি, সময়ে সঙ্গে সঙ্গে মেলা আরও জমে উঠবে।

মুহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, অনেক আশা নিয়ে মেলায় এসেছি এবং প্রতিবছর আসি। মেলায় আমার নিজের লেখায় কয়েকটি বই রয়েছে। দর্শনার্থী ও ক্রেতারা মেলায় আসছেন, স্টলে স্টলে ঘুরে দেখছেন। বেশ উৎসাহ পাচ্ছি।
কবি জামান মনির বলেন, আজকেই প্রথম মেলায় এসেছি। প্রতিবছরই আসি দু-একবার। অনেক মানুষের সমাগম দেখে খুব ভালো লাগছে। মেয়েকে নিয়ে আসতে পেরেছি এটাও একটা আনন্দের বিষয়।

এদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। পছন্দের লেখককে ঘিরে দেখা গিয়েছে সেলফি তোলার হিড়িক। বিক্রেতারাও ব্যস্ত ছিল বই বিক্রিতে। অন্যপ্রকাশ, পিয়াল, মহাকাল, নব সাহিত্য, রহমানিয়া সহ বিভিন্ন স্টলে ছিলো বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে বিক্রেতারা জানান, শুরুর দিকে খুব একটা বেচাকেনা হয়নি। মেলায় আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখেছেন,আর নতুন নতুন বইয়ের খোঁজ-খবর নিয়েছেন, জেনেছেন দামও। তবে তারা আশা করেন গতবছরের তুলনায় এবার বই বেশী বিক্রি হবে।