ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে গিয়ে সুপার লাঞ্ছিত, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৩:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
  • / ৬৮৩

মোঃ আল-আমিন, পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে গিয়ে বরগুনার পাথরঘাটার হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সির বিরুদ্ধে। এসময় তারা শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে বলেও জানান রুহুল আমিন।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা বাজার সংলগ্ন ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন। তবে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি সত্য নয় বলেও জানান তিনি।

মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন বলেন, বিকেলে মাদ্রাসার গেটে তিনি সহ হুমায়ূন, জিয়াউল ও শহিদুল মিলে শোক দিবসের ব্যানার লাগানোর জন্য মাদ্রাসার গেটের পাশে থাকা গাছের ডাল কাটি। যাতে করে দূর থেকে ব্যানারটি পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এ সময় জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সি এসে শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে নিষেধ করে। তাদের নিষেধ না শুনে ব্যানার লাগাতে গেলে আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায় এবং শোক দিবসের ব্যানার নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে।

অভিযুক্ত জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সি জানান, সুপার অযথা আমড়া গাছের ডাল কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি উত্তেজিত হয় গায়ে পড়ে আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। এর বেশী আর কিছু ঘটেনি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ মুজাহিদ জানান, সুপারকে লাঞ্ছিত করার সংবাদ পেয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখে এসেছি। তবে কি কারণে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তবে শোকদিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার কোন অভিযোগ আমি পাইনি।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন জানান, আমাকে মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনা বিশ্বাস যোগ্য নয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, বিষয়টি সোমবার রাত এগারোটার দিকে আমাকে মুঠোফোনে মাদ্রাসার সুপার জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এতে ব্যাক্তিগত আক্রোশ মিটাতে রাজনীতিকে ইস্যু করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



নিউজটি শেয়ার করুন








শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে গিয়ে সুপার লাঞ্ছিত, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

আপডেটের সময় : ০৩:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

মোঃ আল-আমিন, পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে গিয়ে বরগুনার পাথরঘাটার হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সির বিরুদ্ধে। এসময় তারা শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে বলেও জানান রুহুল আমিন।

সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা বাজার সংলগ্ন ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন। তবে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি সত্য নয় বলেও জানান তিনি।

মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন বলেন, বিকেলে মাদ্রাসার গেটে তিনি সহ হুমায়ূন, জিয়াউল ও শহিদুল মিলে শোক দিবসের ব্যানার লাগানোর জন্য মাদ্রাসার গেটের পাশে থাকা গাছের ডাল কাটি। যাতে করে দূর থেকে ব্যানারটি পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এ সময় জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সি এসে শোক দিবসের ব্যানার লাগাতে নিষেধ করে। তাদের নিষেধ না শুনে ব্যানার লাগাতে গেলে আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায় এবং শোক দিবসের ব্যানার নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে।

অভিযুক্ত জাকির মুন্সি ও সিদ্দিক মুন্সি জানান, সুপার অযথা আমড়া গাছের ডাল কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি উত্তেজিত হয় গায়ে পড়ে আমাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়েছেন। এর বেশী আর কিছু ঘটেনি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ মুজাহিদ জানান, সুপারকে লাঞ্ছিত করার সংবাদ পেয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখে এসেছি। তবে কি কারণে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তবে শোকদিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার কোন অভিযোগ আমি পাইনি।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন জানান, আমাকে মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনা বিশ্বাস যোগ্য নয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, বিষয়টি সোমবার রাত এগারোটার দিকে আমাকে মুঠোফোনে মাদ্রাসার সুপার জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এতে ব্যাক্তিগত আক্রোশ মিটাতে রাজনীতিকে ইস্যু করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।