ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়া উপজেলায় একই সড়কে দুইটি ব্রিজ এখন মরন ফাঁদ!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২
  • / ৮৮৫

মোঃ সাইমুন ইসলামঃ কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বীপাড়া সাধুর ব্রিজ ও তাহেরপুর ব্রিজের সিমেন্টের স্লাব ভেঙ্গে পরে যায় এবং লোহার অ্যাঙ্গেল গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে ব্রিজ গুলোর । নিচের অনেক লোহার এঙ্গেল মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মম্বিপাড়া ব্রিজের কংক্রিটের স্লাব গুলোর মধ্যে একটি আলাদা ভাগ হয়ে গেছে, ও তাহেরপুরের অনেক স্লাব ভেঙে পড়ে পরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে । লোহার পাতগুলো নিচের দিকে ঝুঁকে বাকা হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সব এ্যাঙ্গেল জীর্ন দশায় পরিণত হয়েছে। উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রমের সাথে কুয়াকাটা আলিপুর মহিপুর বাজারের বৃষ্টির মৌসুমে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিটি এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ কারনে ৪/৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

স্থানীয় লোক জানান, বেশ কিছু দিন আগে সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণ করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ প্রচার করেছিলেন তাতে কোন প্রতিফলন আসেনি, এখন তো আগের চেয়েও ব্রিজগুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে, এখনতো হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই তাই আমাদের ভোগান্তির আর শেষ হবে না।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মম্বীপাড়া পৌরঘোজা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়, মিস্ত্রীপাড়া হাইস্কুল ও কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা এই ব্রিজ গুলো পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সড়ক পথে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ও শাক সবজি সহ সমুদ্রের জেলেদের মাছ বিক্রয়ের জন্য বর্ষার মৌসুমে বাজার হাটখোলায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজ গুলো।দীর্ঘ দিনে মেরামত কিংবা পুনঃনির্মাণ না করায় ব্রিজ গুলো ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় বাকি কংক্রিটের স্লাব গুলো ভেঙে পরতে পারে । তারপরও কোন উপায় না পেয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে এ ব্রিজগুলো দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। এতে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে মটরসাইকেল চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে । বৃষ্টির মৌসুমে অসুস্থ্য রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে আসার মাধ্যম এই ব্রিজগুলো ।

মম্বীপাড়া গ্রামের একাধিক মানুষেরা জানান যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। অথচ এটি নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না।
কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে আসার সময় অনেক ভয় হয়। এছাড়া অনেক সময় অসাবধানতা বসত হাত থেকে কলম কিংবা বই খাতা ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা গেছে শুধু লতাচাপলি ইউনিয়নের একটি ব্রিজ নয় একই সড়কের তিনটি ব্রিজের একই দশা ব্রিজ গুলো পুনঃনির্মাণ না করলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনার।

লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিজগুলো নির্মাণের লক্ষে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমার নিজ অর্থায়নে তাহেরপুর ব্রিজটি সামান্য মেরামত করা হয়েছে। তবে নির্মাণের আগ পর্যন্ত এ ব্রিজ দিয়ে শুধু মানুষ ছাড়া কোন ভাড়ি যানবাহন চলতে পারবে না, আর মম্বিপড়া ব্রিজটি সম্পর্কে আমি আজ শুনেছি যে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে ঘটনাস্থলে গিয়ে যথাসম্ভব ব্যবহার নেওয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলৗ (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মহর আলী বলেন এ বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যথা সম্ভব ব্রিজটি অনুমোধন করবো।



নিউজটি শেয়ার করুন








কলাপাড়া উপজেলায় একই সড়কে দুইটি ব্রিজ এখন মরন ফাঁদ!

আপডেটের সময় : ০১:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০২২

মোঃ সাইমুন ইসলামঃ কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বীপাড়া সাধুর ব্রিজ ও তাহেরপুর ব্রিজের সিমেন্টের স্লাব ভেঙ্গে পরে যায় এবং লোহার অ্যাঙ্গেল গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে ব্রিজ গুলোর । নিচের অনেক লোহার এঙ্গেল মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মম্বিপাড়া ব্রিজের কংক্রিটের স্লাব গুলোর মধ্যে একটি আলাদা ভাগ হয়ে গেছে, ও তাহেরপুরের অনেক স্লাব ভেঙে পড়ে পরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে । লোহার পাতগুলো নিচের দিকে ঝুঁকে বাকা হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সব এ্যাঙ্গেল জীর্ন দশায় পরিণত হয়েছে। উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রমের সাথে কুয়াকাটা আলিপুর মহিপুর বাজারের বৃষ্টির মৌসুমে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিটি এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ কারনে ৪/৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

স্থানীয় লোক জানান, বেশ কিছু দিন আগে সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণ করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ প্রচার করেছিলেন তাতে কোন প্রতিফলন আসেনি, এখন তো আগের চেয়েও ব্রিজগুলো ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে, এখনতো হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই তাই আমাদের ভোগান্তির আর শেষ হবে না।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মম্বীপাড়া পৌরঘোজা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়, মিস্ত্রীপাড়া হাইস্কুল ও কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা এই ব্রিজ গুলো পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সড়ক পথে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ও শাক সবজি সহ সমুদ্রের জেলেদের মাছ বিক্রয়ের জন্য বর্ষার মৌসুমে বাজার হাটখোলায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজ গুলো।দীর্ঘ দিনে মেরামত কিংবা পুনঃনির্মাণ না করায় ব্রিজ গুলো ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় বাকি কংক্রিটের স্লাব গুলো ভেঙে পরতে পারে । তারপরও কোন উপায় না পেয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে এ ব্রিজগুলো দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। এতে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে মটরসাইকেল চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে । বৃষ্টির মৌসুমে অসুস্থ্য রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে আসার মাধ্যম এই ব্রিজগুলো ।

মম্বীপাড়া গ্রামের একাধিক মানুষেরা জানান যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। অথচ এটি নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না।
কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে আসার সময় অনেক ভয় হয়। এছাড়া অনেক সময় অসাবধানতা বসত হাত থেকে কলম কিংবা বই খাতা ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা গেছে শুধু লতাচাপলি ইউনিয়নের একটি ব্রিজ নয় একই সড়কের তিনটি ব্রিজের একই দশা ব্রিজ গুলো পুনঃনির্মাণ না করলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনার।

লতাচাপলি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিজগুলো নির্মাণের লক্ষে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমার নিজ অর্থায়নে তাহেরপুর ব্রিজটি সামান্য মেরামত করা হয়েছে। তবে নির্মাণের আগ পর্যন্ত এ ব্রিজ দিয়ে শুধু মানুষ ছাড়া কোন ভাড়ি যানবাহন চলতে পারবে না, আর মম্বিপড়া ব্রিজটি সম্পর্কে আমি আজ শুনেছি যে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে ঘটনাস্থলে গিয়ে যথাসম্ভব ব্যবহার নেওয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলৗ (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মহর আলী বলেন এ বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যথা সম্ভব ব্রিজটি অনুমোধন করবো।