ডালবুগঞ্জে রাস্তার বেহাল দশা, জনভোগান্তি চরমে

- আপডেটের সময় : ০৫:৩১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
- / ৭৯৩
ইমাম হোসেন হিমেল, বিশেষ প্রতিবেদক : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধুলাসার ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে খেয়াঘাট ব্রীজ হতে নয়াকাটা-সোনখোলা বাধঘাট হয়ে নদীর পাড় ধরে মহিপুর থানা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। গাড়িচালক ও পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে অনেক বছর ধরে। তবে এবার সেই উপায়ও নেই। তার উপর বৃষ্টিতে পুরো সড়কের যাচ্ছে-তাই অবস্থা। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে এ রাস্তা।
তারিকাটা, নয়াকাটা, খাপড়াভাঙ্গা, মনসাতলী ও শিকদার বাড়ী বাধঘাটসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় কলাপাড়া উপজেলার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন কলেজ, চর চাপলি ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও কলাপাড়া হসপিটাল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, বিদ্যুৎ অফিস, জজ কোর্ট, ভূমি অফিস ব্যাংক ও মহিপুর থানাসহ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের যোগাযোগ সচল রাখতে চাপলি বাজার অথবা খেয়াঘাট পর্যন্ত ৪ কি.মি রাস্তা পাঁকা করণের জন্য ১১৪, পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
মোটরবাইক চালক মনির সরদার বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আর খাইতে পারমুনা মনে হয়। অন্য কাম খোঁজতে হইবো। নাইলে না খাইয়া মরমু, কারণ এ রাস্তায় গাড়ি লইয়া নামলে বাড়ি ফিরতে পারমু কিনা তার গ্যারান্টি নাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য কবিরুল ইসলাম খলিফা বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি অসহায়, এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অজানা কারণে তা শুরু হচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, প্রায়ই অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, টমটম ও অ্যাম্বুলেন্সসহ আরো অনেক গাড়ি যাতায়াত করে এ রাস্তাটি দিয়ে। জানিনা ঠিক কতদিন আমাদের মতো মানুষদের এ ভোগান্তি সহ্য করতে হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারমান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন শিকদার বলেন, ‘আমার যেটুকু করার তা করেছি। যেহেতু বড় রাস্তা (৪ কি.মি) এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা এমপি মহোদয়ের সহায়তা প্রয়োজন। মাসিক উন্নয়ন সভায় ৬/৭ বার লিখিতভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। সত্যি বলতে এসব কাজ চেয়্যারমানের আওতায় নেই, এলজিইডির আওতাধীন। তাই তদবির করা ছাড়া কিছুই করতে পারছিনা।’
স্থানীয় সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের অনেক কাজ আটকে ছিলো। খুব শীঘ্রই উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা পাঁকা করণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’