ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন বছরকে বরণ করতে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের পদচারণা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৩:১৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬৩১

নতুন বছরকে বরণ করতে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের পদচারণা ॥ ছবি : সোহেল মাহমুদ

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নতুন বছরকে বরণ ও পুরান বছরকে বিদায় জানাতে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের পদচারণা।

প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাড়ে পর্যটকের সংখ্যা। ইতোমধ্যে সৈকতের কাছের আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করছেন অসংখ্য পর্যটক। এছাড়া অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন হোটেল।

গত বছর দেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে পর্যটকরা আসতে পারেননি। তাই এ বছর নভেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটন নগরীতে ছুটছে ভ্রমণ পিপাসুরা।

বিগত মৌসুমে করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে যারা সৈকত এলাকায় পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের এই ব্যবসাগুলো ছিল বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তি নির্ভর। কিস্তি নিয়ে ক্ষুদ্রব্যবসা পরিচালনা করেন এসব ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা। এবছর যেভাবে পর্যটক আসতে শুরু করেছে তাতে ধীরে ধীরে সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধ্রুববাণীকে জানান, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে পায়রা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় ব্যাপক চাপ বাড়ছে পর্যটকদের। সপ্তাহের অন্যদিন যাই হোক, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় সমুদ্র সৈকত।

মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের এমন ভিড় হাসি ফুটিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। এছাড়া এবছর থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে ব্যাপক সমাগম ঘটবে বলেও মনে করছেন তারা। তারা বলেন, বিগত দিনগুলোতে ব্যবসায় খুবই মন্দা ছিলো, কিন্তু এখন হয়তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

এ বিষয়ে একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আগামী দু’চার দিন এরকম চাপ থাকবে। এখনো হোটেল মোটেলগুলোতে বুকিং চলছে।

পর্যটক রাকিবুল ইসলাম ধ্রুববাণীকে বলেন, শহরের এক ঘেয়ে জীবন থেকে একটু পরিত্রাণ পেতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে স্বপরিবারে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে প্রকৃতির গড়া নির্মল শোভা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

অপর এক পর্যটক মনির হোসেন বলেন, এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য যে কারো হৃদয় কাড়বে। এছাড়া রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির, রাখাইন মার্কেট ও তাদের জীবনযাত্রা, এখানে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক পুরোনো নৌকা, গঙ্গামতির লেক, টেংরাগিরির বন ও ফাতরার বনাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লাগছে।

এদিকে পর্যটক সমাগম বাড়ায় সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মাইকিং ও ট্যুরিস্ট সেবা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








নতুন বছরকে বরণ করতে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকের পদচারণা

আপডেটের সময় : ০৩:১৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নতুন বছরকে বরণ ও পুরান বছরকে বিদায় জানাতে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটকদের পদচারণা।

প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাড়ে পর্যটকের সংখ্যা। ইতোমধ্যে সৈকতের কাছের আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান করছেন অসংখ্য পর্যটক। এছাড়া অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন হোটেল।

গত বছর দেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে পর্যটকরা আসতে পারেননি। তাই এ বছর নভেম্বরের শুরু থেকেই পর্যটন নগরীতে ছুটছে ভ্রমণ পিপাসুরা।

বিগত মৌসুমে করোনা ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে যারা সৈকত এলাকায় পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের এই ব্যবসাগুলো ছিল বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তি নির্ভর। কিস্তি নিয়ে ক্ষুদ্রব্যবসা পরিচালনা করেন এসব ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা। এবছর যেভাবে পর্যটক আসতে শুরু করেছে তাতে ধীরে ধীরে সংকট কেটে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধ্রুববাণীকে জানান, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে পায়রা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় ব্যাপক চাপ বাড়ছে পর্যটকদের। সপ্তাহের অন্যদিন যাই হোক, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হয় সমুদ্র সৈকত।

মৌসুমের শুরুতে পর্যটকদের এমন ভিড় হাসি ফুটিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। এছাড়া এবছর থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে ব্যাপক সমাগম ঘটবে বলেও মনে করছেন তারা। তারা বলেন, বিগত দিনগুলোতে ব্যবসায় খুবই মন্দা ছিলো, কিন্তু এখন হয়তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

এ বিষয়ে একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আগামী দু’চার দিন এরকম চাপ থাকবে। এখনো হোটেল মোটেলগুলোতে বুকিং চলছে।

পর্যটক রাকিবুল ইসলাম ধ্রুববাণীকে বলেন, শহরের এক ঘেয়ে জীবন থেকে একটু পরিত্রাণ পেতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে স্বপরিবারে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে প্রকৃতির গড়া নির্মল শোভা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

অপর এক পর্যটক মনির হোসেন বলেন, এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য যে কারো হৃদয় কাড়বে। এছাড়া রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির, রাখাইন মার্কেট ও তাদের জীবনযাত্রা, এখানে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক পুরোনো নৌকা, গঙ্গামতির লেক, টেংরাগিরির বন ও ফাতরার বনাঞ্চলসহ বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে দেখেছি। খুব ভালো লাগছে।

এদিকে পর্যটক সমাগম বাড়ায় সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মাইকিং ও ট্যুরিস্ট সেবা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ ও কুয়াকাটা পর্যটন সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে।