ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজ সজ্জার কাজ শেষ, অপেক্ষা শুধু মহাষষ্ঠীর

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৮:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ৬২১

মোঃ আসাদুল হক সবুজ, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ মহাষষ্ঠীতে মা দুর্গার আগমন, প্রহর যেন কাটছেই না বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। বছর ঘুরে মা দুর্গার আগমন, মন্দির ঢাক আর কাশার ঘন্টা বাজার শব্দ কখন বেজে উঠবে? শুধু অপেক্ষা ১১অক্টোবরের মহাষষ্ঠীর সেই শুভক্ষনের। পরিবার পরিজন নিয়ে এক মন্দির থেকে আরেক মন্দিরে রাত দুপুর পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখা, নকুল, বাতাসা খাওয়া যেন মা দুর্গার স্বর্গ থেকে নিয়ে আসা প্রশান্তি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরের সব বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। মা দুর্গার আগমনকে সামনে রেখে বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বইছে মৌ মৌ আমেজ। ইতিমধ্যে বরগুনার সকল পূজা মণ্ডপ গুলোতে শেষ হয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। খড়, বাশ, সুতলী ও মাটি দিয়ে প্রতীমা তৈরি করা প্রতিমাগুলোতে দেওয়া হয়েছে রং তুলির আচর। শিল্পের তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষী, গনেশ, কার্তিক ও মহিশাশুরের নিপুণ সৌন্দর্য। পূজা মণ্ডপ গুলোতে সাজ সজ্জার কাজও প্রায় শেষ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, মা দুর্গা চলতি বছরের ১১ অক্টোবর ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিশ অসুর কে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দুর্গতি নাশ করে ১৫ই অক্টোবর দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন।

বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় মোট১৫৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বছর মহামারী করোনার প্রভাবে সীমিত আকারে পূজা-অর্চনা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার সভাপতি বাবু সুখরঞ্জন শীল জানান, মহামারি করোনায় সরকারের সকল নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার জেলার ১৫৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ই অক্টোবর দশমীর মহাপ্রলয়ের দিনে রাত ৮ টায় প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৬টি টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় বরগুনা জেলায়১৫৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবচেয়ে বড় এ দুর্গাউৎসবকে ঘিরে তিন স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানন তিনি। তিনি আরো বলেন, আসন্ন দুর্গা পুজায় যাতে কোন অপ্রতিকার ঘটনা না ঘটে সেদিকেও কঠোর নজরদারি থাকবে প্রশাসনের।



নিউজটি শেয়ার করুন








সাজ সজ্জার কাজ শেষ, অপেক্ষা শুধু মহাষষ্ঠীর

আপডেটের সময় : ০৮:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১

মোঃ আসাদুল হক সবুজ, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ মহাষষ্ঠীতে মা দুর্গার আগমন, প্রহর যেন কাটছেই না বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। বছর ঘুরে মা দুর্গার আগমন, মন্দির ঢাক আর কাশার ঘন্টা বাজার শব্দ কখন বেজে উঠবে? শুধু অপেক্ষা ১১অক্টোবরের মহাষষ্ঠীর সেই শুভক্ষনের। পরিবার পরিজন নিয়ে এক মন্দির থেকে আরেক মন্দিরে রাত দুপুর পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখা, নকুল, বাতাসা খাওয়া যেন মা দুর্গার স্বর্গ থেকে নিয়ে আসা প্রশান্তি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরের সব বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজা। মা দুর্গার আগমনকে সামনে রেখে বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বইছে মৌ মৌ আমেজ। ইতিমধ্যে বরগুনার সকল পূজা মণ্ডপ গুলোতে শেষ হয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। খড়, বাশ, সুতলী ও মাটি দিয়ে প্রতীমা তৈরি করা প্রতিমাগুলোতে দেওয়া হয়েছে রং তুলির আচর। শিল্পের তুলিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষী, গনেশ, কার্তিক ও মহিশাশুরের নিপুণ সৌন্দর্য। পূজা মণ্ডপ গুলোতে সাজ সজ্জার কাজও প্রায় শেষ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, মা দুর্গা চলতি বছরের ১১ অক্টোবর ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিশ অসুর কে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দুর্গতি নাশ করে ১৫ই অক্টোবর দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন।

বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় মোট১৫৪টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বছর মহামারী করোনার প্রভাবে সীমিত আকারে পূজা-অর্চনা হবে বলে জানান আয়োজকরা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার সভাপতি বাবু সুখরঞ্জন শীল জানান, মহামারি করোনায় সরকারের সকল নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার জেলার ১৫৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ই অক্টোবর দশমীর মহাপ্রলয়ের দিনে রাত ৮ টায় প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৬টি টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় বরগুনা জেলায়১৫৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবচেয়ে বড় এ দুর্গাউৎসবকে ঘিরে তিন স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানন তিনি। তিনি আরো বলেন, আসন্ন দুর্গা পুজায় যাতে কোন অপ্রতিকার ঘটনা না ঘটে সেদিকেও কঠোর নজরদারি থাকবে প্রশাসনের।