ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহিপুরে সরবরাহ বাড়লেও নাগালের বাইরে সবজির দাম

মাইনুদ্দিন আল আতিক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬২৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর মহিপুরে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। তবুও কমছে না সবজি বাজারের অস্থিরতা। পাশাপাশি ক্রেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলু ও পেঁয়াজ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের বাজার।

বৃহস্পতিবার ঐতিহ্যবাহী মহিপুর সাপ্তাহিক হাটের কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতকালীন সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শাক ও কাঁচকলা ব্যতিত অন্যসব সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, জলপাই ৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা। আর আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৮০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আজ আমি পাইকারী প্রতি কেজি বেগুন ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, শিম ১১০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০, লাউ ৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি দরে ক্রয় করেছি। প্রতি আইটেমে যদি ১০ টাকা বাড়তি ধরি তাহলেই ক্রেতারা রাগ হয়ে যায়। আমাদের বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আমরা যদি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি বিক্রি না করি তাহলে সংসার চলবে কি করে?’

মহিপুর হাটে বাজার করতে আসা সেলিনা বেগম, ইউনুস মিয়া ও রুহুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তারপরও দাম কমছে না। অন্যসব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে? দাম বেশি হওয়ায় সবজি কম কিনেছি। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

এ বিষয়ে পাইকারী ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও দাম কমেনি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সবজি ক্রয় করে নেয়। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে হিসেবে যোগান বাড়েনি। তাই শীতকালীন সবজির দাম পরছেনা।’

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘শীতকালীন সকল সবজি এখনো বাজারে আসেনি। বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির উপস্থিতি বেশি, তাই দাম কমতি নেই। এ সপ্তাহের শেষে হয়ত দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে। পাশাপাশি আমরা নজরদারি করছি কোনো ধরনের সিণ্ডিকেট যাতে তৈরি না হয়।’



নিউজটি শেয়ার করুন








মহিপুরে সরবরাহ বাড়লেও নাগালের বাইরে সবজির দাম

আপডেটের সময় : ০৫:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর মহিপুরে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। তবুও কমছে না সবজি বাজারের অস্থিরতা। পাশাপাশি ক্রেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলু ও পেঁয়াজ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের বাজার।

বৃহস্পতিবার ঐতিহ্যবাহী মহিপুর সাপ্তাহিক হাটের কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতকালীন সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শাক ও কাঁচকলা ব্যতিত অন্যসব সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, জলপাই ৪০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা। আর আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৮০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আজ আমি পাইকারী প্রতি কেজি বেগুন ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, শিম ১১০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০, লাউ ৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি দরে ক্রয় করেছি। প্রতি আইটেমে যদি ১০ টাকা বাড়তি ধরি তাহলেই ক্রেতারা রাগ হয়ে যায়। আমাদের বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হয়। আমরা যদি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেশি বিক্রি না করি তাহলে সংসার চলবে কি করে?’

মহিপুর হাটে বাজার করতে আসা সেলিনা বেগম, ইউনুস মিয়া ও রুহুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তারপরও দাম কমছে না। অন্যসব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে? দাম বেশি হওয়ায় সবজি কম কিনেছি। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

এ বিষয়ে পাইকারী ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও দাম কমেনি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সবজি ক্রয় করে নেয়। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে হিসেবে যোগান বাড়েনি। তাই শীতকালীন সবজির দাম পরছেনা।’

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘শীতকালীন সকল সবজি এখনো বাজারে আসেনি। বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির উপস্থিতি বেশি, তাই দাম কমতি নেই। এ সপ্তাহের শেষে হয়ত দাম নাগালের মধ্যে চলে আসবে। পাশাপাশি আমরা নজরদারি করছি কোনো ধরনের সিণ্ডিকেট যাতে তৈরি না হয়।’