কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানের নাম পরিবর্তন করে বিতর্কের মুখে শিকদার রিসোর্ট

- আপডেটের সময় : ১০:৫১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৭২৭
এইচ এম মাইনুল ইসলাম টিটু, কুয়াকাটাঃ বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে কুয়াকটা সমুদ্র সৈকতের তীরে গড়ে ওঠা ১,৬১৩ হেক্টর (৩,৯৯০ একর) আয়তনের এই উদ্যানটিকে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৫ সালে ৫৬৬১ হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত হয় “কুয়াকাটা ইকো পার্ক।” এই দুই দর্শনীয় স্থান কুয়াকাটার সৌন্দর্যের প্রাচীর হিসাবে কাজ করে থাকে। এই শব্দ দুইটির মাঝে লুকিয়ে আছে কুয়াকটার ইতিহাস ঐতিহ্য।
কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুয়াকাটা ইকো পার্ক ও কুয়াকাটা উদ্যানের নাম বিব্রতর করে “Welcome to our private beach” নামে প্রকাশ করছে কুয়াকাটা শিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ নামে এক প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর পরই সমালোচনার মুখে পড়ে কুয়াকাটা শিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ। ক্ষমতার অপব্যয় জানিয়ে প্রতিক্রিয়া করেছেন স্থানীয়রা।
ডাঃ ইসমাল ইমন মন্তব্য করেছেন- “কুয়াকাটা শেখ বাড়ির আমার বাপ দাদা চাচাদের ৬ একর জমি সাগরে বিলিন হয়ে গেছে। যেখানে এখন সমুদ্র।আমিও কি সমুদ্রের নাম দিবো কুয়াকাটা শেখ বাড়ি সমুদ্র সৈকত?”
বাংলা ভিশন টিভির কুয়াকাটা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন- “এটা হতে পারে তাদের নিজস্ব চাওয়া বা মতামত পর্যটক এবং পর্যটক সংশ্লিষ্ট সকল মানুষের কাছে এটা ঝাউবন পয়েন্ট নামে পরিচিত। তবে ইদানিংকালে কুয়াকাটা বেশ কিছু পয়েন্টের নাম বিকৃত ঘটছে। আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া দরকার। না হয় এই সুযোগটা আমিও কাজে লাগাতে চাইবো।
ওটা কুয়াকাটা ঝাউবন পয়েন্ট এটাই বাস্তবতা।”
এ বিষয়ে কামাল হোসাইন রনি তার নিজেস্ব ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন- “পর্যটন প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যারা আছেন আপনারা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন (যদি হাতে সময় থাকে)। সমাজে শিক্ষিত, জ্ঞানী, সচেতন নাগরিক যখন চুপ থাকে সমাজ তখন খারাপের দিকে ধাবিত হয়। কুয়াকাটাতে নতুন কোন স্পট ঘোষনা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই টোয়াক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আধুনিক পর্যটনবান্ধব কুয়াকাটা বিনির্মাণ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।”
কুয়াকটার দর্শণীয় স্থান বিকৃতি করায় কুয়াকাটা শিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কুয়াকাটার সচেতন নাগরিক সমাজ। যদিও বিতর্কের মুখে তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন।