ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, কুয়াকাটা সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সতর্ক মাইকিং

- আপডেটের সময় : ০১:০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ৭২১
কুয়াকাটা সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটকদেরকে বার বার মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে ছুটির দিনে আগত পর্যটকরা মেতেছেন সৈকতে গোসল করতে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত থেকেই মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছে সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র উত্তাল হলেও অনেক পর্যটক বৃষ্টিকে উপভোগ করতে সৈকতে বিচরণ করছেন।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মাসুদ পারভেজ ধ্রুববাণীকে বলেন, হরতালের কারণে কুয়াকাটা আসতে পারিনি। আজকে শুক্রবার তাই আসছি, কিন্তু এসে বৃষ্টিতে আটকা পরেছি। তবে বৃষ্টি আর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপভোগ করছি। পুলিশ বারবার নিষেধ করছে আমাদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ইতোমধ্যে সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। যারা সাঁতার না জানে তাদেরকে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছি। বারবার মাইকিং করা হচ্ছে, পর্যটকরা যাতে নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ধ্রুববাণীকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাকে নিরাপদ রাখতে চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ সকল স্বেচ্ছাসেবক লিডারদের সাথে বৈঠক করে ১৭৫ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯ টি মুজিব কিল্লা এবং পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রেখেছি।