ইজারা নিয়েও খেয়াঘাটে যেতে পারছেনা ইজারাদার, পারাপারে ভোগান্তি

- আপডেটের সময় : ০২:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
- / ৬৩৬
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও তালতলীর মধ্যবর্তী জালালপুর এবং সওদাগার পাড়ার খেয়ার ইজারাদারকে মারধর, চাঁদা দাবী, খেয়াঘাটে যেতে না দেওয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে সওদাগর পাড়ার ইউপি সদস্য জসিম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ২ দিন খেয়াবন্ধ থাকায় দুই পাড়ের পারাপারে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুনরায় খেয়া চালু হলেও ইজারাদার আবারও হামলার ভয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের কাছে।
জানা যায়, বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সাড়ে ৫ লক্ষ টাকায় ইজারা পেয়েছেন নিজাম পাহলান। ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করলে সওদাগরপাড়ার ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন ১ লক্ষ টাকা দাবীসহ আত্মীয় স্বজনদের খেয়াপারের টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হলে ওপার গেলে কামাল গাজী সহ ৭/৮ জন নিজাম পাহলানের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আহত অবস্থায় তিনি কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরে মামলা হলে বন্ধ হয়ে যায় খেয়া পারাপার।
মাহমুদা নামের এক যাত্রী জানান, খেয়াঘাটের ঝামেলায় অনেক সময় দাঁড়িয়ে আছি। কেউ আসছেনা পাড় করতে। এই ঝামেলার খুব দ্রুত সমাধান করা উচিৎ। খেয়া বন্ধ থাকলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা।
নিজাম পাহলানে ভাগিনা বলেন, মামা নিজাম পাহলানকে মারধরের পরে অনেক যাত্রী জমা হয়ে যায় ঘাটে। আমি তাদেরকে পার করতে গেলে ওপারের স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম গাজী আমাকে ডেকে বলেন আমি সহ আমার মামারা যেন খেয়াঘাটে না আসি। পড়ে তার নেতৃত্ব ছোট নৌকায় তাঁরা মানুষ পারাপার করেন।
নিজাম পাহলানের ছোট ভাই মিজান বলেন, আমরা প্রাই দীর্ঘ তিন বছর যাবত খেয়া পরিচালনা করে আসছি। ওপারের জসিম মেম্বারসহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের কাছে টাকা ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার ভাইয়ের উপরে হামলা চালায়। আমাদের কাছ থেকে তাঁরা খেয়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করেন। এতে আমাদের অর্থিক ক্ষতি হয় আমার ভাইকে কলাপাড়া ডাক্তার দেখাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।
এই বিষয় ইউপি সদস্য জসিম গাজী কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, এই খেয়া নিয়ে আমাদের কোন ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। তবে এই খেয়া পরিচালনা করা নিজাম পাহলান মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। আমি ইউপি সদস্য, সেই হিসেবে আমার কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। আমি অনেকবার সাবধান করে দিলেও তারা পরিবর্তন হয়নি। মারামারির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি কিন্তু মারামারি হয়নি। এটা ওরা মিথ্যা বলছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার টুম্পা জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। তাদেরকে উপজেলায় আসতে বলছি এবং পুনরায় খেয়া চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কারণ ওখানে ঝামেলা হলে খেয়া বন্ধ হয়ে যাবে, এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে। উভয় পক্ষ আসলে আমি কথা বলে সমাধান করে দিবো।