কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে হুমায়ুন কবিরকে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা

- আপডেটের সময় : ০৬:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৬৫২
রাসেল মোল্লা, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালী কলাপাড়া পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র জননন্দিত নেতা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির কে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চান তৃণমূল যুবলীগের নেতাকর্মীরা ।
জানা গিয়েছে , কলাপাড়া অফিস মহল্লা এলাকার প্রয়াত সমাজ সেবক আলহাজ্ব গাজী তৈয়বুর রহমান এবং মোসাঃ দেলোয়ারা বেগম’র ৩য় সন্তান মোঃ হুমায়ুন কবির সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠার সুবাদে পিতার রাজনৈতিক মতাদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শৈশব থেকেই বুকের ভেতর লালন করেছেন। বাবার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে হুমায়ুন কবির ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ১৯৯০ সালে কলাপাড়া উপজেলা তৃণমূল কর্মী হিসাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রীয় হয় ওঠেন।১৯৯১থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সফল ভাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সকল দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে আসছেন। তিনি শিক্ষা জীবনে বিএ(এলএল.বি) পাস করেন।
তিনি ১৯৯০ এর স্বৈরাচার সরকারের পতনের আন্দোলনে কলাপাড়ার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে একাধিক রাজনৈতিক মামলা ও হামলার শিকার হন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে দলের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি সহ চার দলীয় জোটের সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে তিনিসহ তার তিন ভাই একাধিক বার কারাবরণ করেন। এছাড়া ১/১১ কলাপাড়ায় এবং রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কারণে আবারো কারাবরণ করতে হয় তাকে। ২০১৮সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিবুবুর রহমানের নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবের দ্বায়িত্ব পালন করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০১১/২০১৫/২০২১ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচন কলাপাড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে কাউন্সিলের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে পরপর তিন বার ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে উপজেলা যুবলীগের তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতিক, সাদা মনের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আসন্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগের কলাপাড়া উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে তাকে দেখতে চান নৌকা প্রেমিরা ।
কথা হয় , তৃণমূলের একাধিক যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে তারা বলেন দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব নিকটে আর যুবলীগের সম্মেলন আর মাত্র কয়েক দিন পর । বিএনপি ও জামাতের নৈরাজ্য ঠেকাতে কলাপাড়ার রাজপথ দখলে রাখতে হলে জনপ্রিয় কাউন্সিলর তৃণমূলে আস্থার প্রতীক মোঃ হুমায়ন কবিরের বিকল্প নেই । তাই আমাদের দাবি তাকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নিযুক্ত করা হোক। আমরা তৃণমূল নেতা কর্মীরা আমাদের সুখে-দুঃক্ষে সব সময় কবির ভাই কে পাশে পাই। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগে তার কোন বিকল্প নেই।
কথা হয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রত্যাশী পৌর কাউন্সিলের প্যানেল মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছি প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম । হামলা ও মামলার শিকার হয়ে একাধিক কারাবরণ করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশে বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপার নির্দেশে রাজপথে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। আমাকে যদি উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয় তবে,তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করব। জামাত-শিবির বিএনপির নৈরাজ্যেকে রাজপথে থেকে শক্ত হাতে দমন করব ইনশাআল্লাহ ।
মোঃ হুমায়ুন কবির দুই কন্যা সন্তানের জনক। প্রথম সন্তান মারিয়া আসফি তাসিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী দ্বিতীয় সন্তান উম্মে হুমায়রা তাহা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। সহধর্মিনী মোসাঃ সালমা কবির কলাপাড়া উপজেলার একমাত্র নারী সংবাদকর্মী সহকারী শিক্ষিকা খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ বর্তমান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কলাপাড়া উপজেলা শাখা।