‘শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে টালবাহানা শুরু করছে সরকার’

- আপডেটের সময় : ০১:৪৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
- / ৭১২
পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে এক বছরের অধিক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুন প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম চলমান। গণপরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে! কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু করোনা বাড়বে? এটি মিথ্যা অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে টালবাহানা শুরু করেছে সরকার ।
সোমবার (৭ই জুন’২১) সকাল-১০টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে “যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে” আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম খান ।
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই, তিনি শিক্ষা নিয়ে সরকারকে তামাশা বন্ধের জোর দাবী জানান।
ইশা ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইমাম হোসেন-এর সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক,
হাসান খান; দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক, রফিকুল ইসলাম;তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক, কাজী নজরুল ইসলাম; প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক, রাসেল আহমাদ; অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম ফয়সাল; বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, হাসান আলী প্রমুখ।