ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৯:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৪৭

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তিনদিন পরও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মো. রবিউল (২৩), তার পিতা নুর সায়েদ আকন, মাতা আকলিমা বেগম এবং বন্ধু আরিয়ান গাজীকে।

মামলাটি গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রনজুয়ারা সিপু।

এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে রবিউল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করছিল। বিষয়টি জানার পর মেয়েটির বাবা রবিউলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ছেলে যেন এমন আচরণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন।

এর জেরে রবিউল ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে পৌঁছালে রবিউল ও তার বন্ধু আরিয়ান গাজী মেয়েটিকে খুনের ভয় দেখিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

মেয়ের খোঁজে রবিউলের বাবা-মায়ের কাছে গেলে তারা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে ফেরত দেননি। অভিযোগে ভিকটিমের বাবার আশঙ্কা, রবিউল তার মেয়েকে কোথাও আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।

অভিযুক্ত রবিউলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘এখনো কোর্টের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



নিউজটি শেয়ার করুন








আমতলীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

আপডেটের সময় : ০৯:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তিনদিন পরও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামের মো. রবিউল (২৩), তার পিতা নুর সায়েদ আকন, মাতা আকলিমা বেগম এবং বন্ধু আরিয়ান গাজীকে।

মামলাটি গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রনজুয়ারা সিপু।

এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরে রবিউল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করছিল। বিষয়টি জানার পর মেয়েটির বাবা রবিউলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ছেলে যেন এমন আচরণ না করে, সে বিষয়ে সতর্ক করেন।

এর জেরে রবিউল ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে পৌঁছালে রবিউল ও তার বন্ধু আরিয়ান গাজী মেয়েটিকে খুনের ভয় দেখিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

মেয়ের খোঁজে রবিউলের বাবা-মায়ের কাছে গেলে তারা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে ফেরত দেননি। অভিযোগে ভিকটিমের বাবার আশঙ্কা, রবিউল তার মেয়েকে কোথাও আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে।

অভিযুক্ত রবিউলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘এখনো কোর্টের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’