কুয়াকাটা জোনাল অফিসে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
- আপডেটের সময় : ০১:০১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / ৮৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীর কুয়াকাটা জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের রিডিং না এনে মনগড়া বিল তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিটারের রিডিংয়ের চেয়ে বেশি ইউনিট দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল আদায় করা হচ্ছে। এমনকি টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখের পর বিল পৌঁছাচ্ছে গ্রাহকের হাতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোনালের আওতাধীন অধিকাংশ গ্রাহকই এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, বিল রিডাররা নিয়মিত রিডিং না নিয়ে নিজেদের মতো করে বিল বানিয়ে ফেলেন। বিশেষ করে জুন মাসে অতিরিক্ত বিল তৈরি করে নিজেদের মাসিক টার্গেট পূরণ করছেন। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। অনেক গ্রাহক দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী মোঃ আমির হাওলাদার বলেন, ‘আমার দোকানের রিডিং নেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিল কাগজ পাওয়ার পর দেখি রিডিং অনুযায়ী যে পয়েন্ট দেখানো হয়েছে, তা মিটারে উঠেনি। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সাথে এমন প্রতারণা কেন? শুধু আমি না, এলাকার অনেকেই একই সমস্যায় ভুগছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
চাপলী এলাকার আরেক ভুক্তভোগী মো. ফরিদ জানান, ‘আমার ঘরে একটি লাইট ও মাঝে মাঝে একটি ফ্যান চলে। আগে মাসে বিল আসতো ১২০-১৫০ টাকা। এবার এসেছে ৯০০ টাকা! মিটার রিডিং অনুযায়ী এত ইউনিট খরচ হওয়ার কথা নয়। তিন মাসে বিল না দিয়ে হঠাৎ করেই বেশি বিল ধরিয়ে দেয়। পরে মাইকিং করে হুমকি দেওয়া হয়, বিল না দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বাধ্য হয়ে জরিমানাসহ বিল পরিশোধ করতে হয়।’
এ বিষয়ে কুয়াকাটা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. সিফাতুল্লাহ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অত্র জোনালের এজিএম মোতাহার উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি কাজ করছে। বিশেষ করে ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ার চর এলাকায় বেশি অভিযোগ আসায় সেখানে দায়িত্বে থাকা মিটার রিডার কাম-ম্যাসেঞ্জার মো. মোস্তাফিজুর রহমান হিমেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যার জন্য তিন কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জনবল সংকট রয়েছে, যা অনেক সময় সেবা দিতে বিলম্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা সচেষ্ট থাকব যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম আর না হয়।’
স্থানীয়দের দাবি, তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়ে অনিয়মের এই ধারা বন্ধ করা হোক এবং গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা হোক।




















