ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকামইয়ায় জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু
  • আপডেটের সময় : ১১:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ৫৯০

কলাপাড়া, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকৃত জেলেরা এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ও পছন্দের ব্যক্তিরাই নিয়মিতভাবে এই সুবিধা পাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকামইয়া ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮০৬ জন। কিন্তু চাল বিতরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্ব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে প্রকৃত জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও তাদের নাম তালিকা থেকে কেটে ফেলা হয়েছে বা তাদের কোনোভাবেই ডাকা হয়নি। এর ফলে যাদের প্রাপ্য, সেই চাল চলে যাচ্ছে অযোগ্যদের হাতে।

৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু বক্কার হাওলাদার বলেন, ‘চাল দেওয়ার আগে সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার কথা থাকলেও, আমাদের কিছুই জানানো হয় না। চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোকজন দিয়ে চাল বিতরণ করেন। ইউনিয়নে প্রায় ৫৪ জন মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, তাদের বরাদ্দকৃত চালও আত্মসাৎ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম সিকদার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি এখন সর্বত্র। চাকামইয়া ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা দিনের পর দিন সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, অথচ তারা আজ তাদের ন্যায্য চাল পাচ্ছেন না। এ ধরনের অনিয়ম ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’

এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তালিকা দ্রুত হালনাগাদ করে নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়েছে, কোন অনিয়ম হয়নি।’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এবং জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য থেকে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট। প্রশাসনের নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই অনিয়ম রোধ করে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।



নিউজটি শেয়ার করুন








চাকামইয়ায় জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেটের সময় : ১১:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

কলাপাড়া, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকৃত জেলেরা এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হলেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ও পছন্দের ব্যক্তিরাই নিয়মিতভাবে এই সুবিধা পাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকামইয়া ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮০৬ জন। কিন্তু চাল বিতরণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্ব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে প্রকৃত জেলে হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকলেও তাদের নাম তালিকা থেকে কেটে ফেলা হয়েছে বা তাদের কোনোভাবেই ডাকা হয়নি। এর ফলে যাদের প্রাপ্য, সেই চাল চলে যাচ্ছে অযোগ্যদের হাতে।

৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু বক্কার হাওলাদার বলেন, ‘চাল দেওয়ার আগে সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার কথা থাকলেও, আমাদের কিছুই জানানো হয় না। চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোকজন দিয়ে চাল বিতরণ করেন। ইউনিয়নে প্রায় ৫৪ জন মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, তাদের বরাদ্দকৃত চালও আত্মসাৎ করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম সিকদার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতি এখন সর্বত্র। চাকামইয়া ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা দিনের পর দিন সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, অথচ তারা আজ তাদের ন্যায্য চাল পাচ্ছেন না। এ ধরনের অনিয়ম ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’

এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তালিকা দ্রুত হালনাগাদ করে নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়েছে, কোন অনিয়ম হয়নি।’

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এবং জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য থেকে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট। প্রশাসনের নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই অনিয়ম রোধ করে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।