সোমবার শেষ বিকালে কলাপাড়া পৌরশহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখা আয়োজিত এক সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা ন্যায্য দাবি আদায়ে যখন আওয়াজ তুলেছিল তখন কেউ সাহস করে পাশে দাঁড়ায়নি। একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল সর্বপ্রথম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানার নিয়ে আমার নেতৃত্বে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। বিগত সরকার পাঠ্যবইতে নাস্তিকের থিওরি অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা যখন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করেছি, তখন ভারত থেকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
তাই একত্রিত হয়ে ইসলামের সুফল কী তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানান। পীর সাহেব চরমোনাই এই জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মো. আব্দুল হাকিম, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জেড এম কাওসার, মো. নাইমুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ মুনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আসাদুজ্জামান ইউসুফ, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান আলী প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি মুফতি মো. হাবিবুর রহমান।
ছাত্রজনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি মুফতি মো. হাবিবুর রহমান ইহকালীন-পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অধিকাংশ বক্তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আহ্বান জানান। সমাবেশটি এক পর্যায়ে হাতপাখার নির্বাচনী সমাবেশে পরিণত হয়।