ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি, ৫ জন হাসপাতালে

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৪:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬৩২

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর ঘরামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মিজানুর ঘরামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ লক্ষ টাকা খোয়া গেছে বলে তার স্ত্রী দাবি করেছে। ওই রাতে খাবার খেয়ে অজ্ঞান হওয়া মিজানুর ঘরামীসহ ৫ জনকে বুধবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছ।

এদের মধ্যে মো. মিজানুর ঘরামী ও হামিদ বাঘা এখনও অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় রয়েছেন। তবে তার শাশুড়ী খাদিজা (৬০) স্ত্রীর বোনের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা (২৩) ও মিজানুরের ছেলে জিহাদের (১১) চেতনা ফিরে এসেছে।

ঘটনার বিষয়ে মিজানুরের বাড়িতে বেড়াতে আসা স্বজন মারুফা বলেন, তার খালু ও খালাতো ভাই খাবার খাওয়ার কিছু সময় পরই ঘুমিয়ে পরেন। এরপর রাত ১১ টার দিকে তিনি ও তার নানি খাবার খান। এর কিছু সময় পর তারাও ঘুমিয়ে পরেন। সকালে পার্শ্ববর্তীরা এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা, কোনো লোকের সাড়া নেই। ঘরে ঢুকে দেখেন সবাই ঘুমিয়ে আছে। পাশের বেড়া কাটা, সোকেচ এলোমেলো।

মিজানুরের স্ত্রী ছাবিনা জানান, তিনি ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সকালে এ ঘটনার খবর শুনে এসেছেন। তিনি আরও জানান, তাদের খাবারের ঘর আলাদা। তাই অনুমান করছেন খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চোর তাদের ঘরের টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করেছে।

কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



নিউজটি শেয়ার করুন








কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চুরি, ৫ জন হাসপাতালে

আপডেটের সময় : ০৪:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কলাপাড়া সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর ঘরামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মিজানুর ঘরামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ লক্ষ টাকা খোয়া গেছে বলে তার স্ত্রী দাবি করেছে। ওই রাতে খাবার খেয়ে অজ্ঞান হওয়া মিজানুর ঘরামীসহ ৫ জনকে বুধবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছ।

এদের মধ্যে মো. মিজানুর ঘরামী ও হামিদ বাঘা এখনও অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় রয়েছেন। তবে তার শাশুড়ী খাদিজা (৬০) স্ত্রীর বোনের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা (২৩) ও মিজানুরের ছেলে জিহাদের (১১) চেতনা ফিরে এসেছে।

ঘটনার বিষয়ে মিজানুরের বাড়িতে বেড়াতে আসা স্বজন মারুফা বলেন, তার খালু ও খালাতো ভাই খাবার খাওয়ার কিছু সময় পরই ঘুমিয়ে পরেন। এরপর রাত ১১ টার দিকে তিনি ও তার নানি খাবার খান। এর কিছু সময় পর তারাও ঘুমিয়ে পরেন। সকালে পার্শ্ববর্তীরা এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা, কোনো লোকের সাড়া নেই। ঘরে ঢুকে দেখেন সবাই ঘুমিয়ে আছে। পাশের বেড়া কাটা, সোকেচ এলোমেলো।

মিজানুরের স্ত্রী ছাবিনা জানান, তিনি ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সকালে এ ঘটনার খবর শুনে এসেছেন। তিনি আরও জানান, তাদের খাবারের ঘর আলাদা। তাই অনুমান করছেন খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে চোর তাদের ঘরের টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করেছে।

কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’