ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় ডাকাতি শেষে যাওয়ার পথে ৪ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৮৭৫

কলাপাড়া সংবাদদাতা : ডাকাতি করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ৪ ডাকাতকে পাকড়াও করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এ সময় ডাকাতের আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে সাড়ে ৬ টায় কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-জলিল মৃধা (৭০), স্ত্রী হালিমা বেগম (৬০) ও ছেলে’র বউ নাজমুন্নাহার বেগম (৩৫)। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে হালিমা বেগম ও নাজমুন্নাহার বেগম কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আটককৃতরা হলো মহিবুর ইসলাম (১৮), ইমরান মৃধা (১৯), মোঃ মেহেদী হাওলাদার (২০), আবু হানিফ (২৫) এদের বাড়ি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে আঃ জলিল মৃধা বাদী হয়ে ৪ জনক আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আব্দুল জলিল মৃধা বলেন, আমি সালাত আদায় করার জন্য গেলে আসামীরা আমার নিজ বাড়িতে এসে সামনের দরজায় টোকা দেয়। ঐ সময় মোঃ হানিফ আমার স্ত্রী হালিমা বেগমকে জানায় যে, আমার ১৪ ছেলে মাসুম বাজার পাঠিয়েছে, তখন আমার স্ত্রী মোসাঃ হালিমা বেগম দরজা খুলে দেয়। আমার স্ত্রী দরজা খুলে দিলে  আসামীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী মোসাঃ হালিমা বেগমকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট শুরু করে দেয়। ডাক চিৎকার দিলে তার গলায় ধারালো ছুড়ি ধরে মৃত্যুর ভয় দেখায়। তখন আমি ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা আমাকে ধরে রশি দিয়া বাধার চেষ্টা করে ঐ সময় আমার ছেলে মোঃ মাসুম’র স্ত্রী মোসাঃ নাজমুন্নাহার বেগম আসলে হাতুড়ি দিয়া মাথায় স্বজোরে আঘাত করে। আঘাতে মোসাঃ নাজমুন্নাহার এর মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। ঐ সময় সকল আসামীরা আমার ঘরের কোথায় টাকা ও স্বর্ণালংকার রাখা তা জানতে চায়। আমরা জানাতে রাজি না হলে আমাদের এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশ হতে লোকজন আসা শুরু করে। লোকজন আসা শুরু করলে আসামীরা টের পেয়ে পালিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন স্থানীয় লোকজন আসামীদের পাকড়াও করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত চারজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








কলাপাড়ায় ডাকাতি শেষে যাওয়ার পথে ৪ ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কলাপাড়া সংবাদদাতা : ডাকাতি করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ৪ ডাকাতকে পাকড়াও করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এ সময় ডাকাতের আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে সাড়ে ৬ টায় কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-জলিল মৃধা (৭০), স্ত্রী হালিমা বেগম (৬০) ও ছেলে’র বউ নাজমুন্নাহার বেগম (৩৫)। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে হালিমা বেগম ও নাজমুন্নাহার বেগম কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আটককৃতরা হলো মহিবুর ইসলাম (১৮), ইমরান মৃধা (১৯), মোঃ মেহেদী হাওলাদার (২০), আবু হানিফ (২৫) এদের বাড়ি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে আঃ জলিল মৃধা বাদী হয়ে ৪ জনক আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আব্দুল জলিল মৃধা বলেন, আমি সালাত আদায় করার জন্য গেলে আসামীরা আমার নিজ বাড়িতে এসে সামনের দরজায় টোকা দেয়। ঐ সময় মোঃ হানিফ আমার স্ত্রী হালিমা বেগমকে জানায় যে, আমার ১৪ ছেলে মাসুম বাজার পাঠিয়েছে, তখন আমার স্ত্রী মোসাঃ হালিমা বেগম দরজা খুলে দেয়। আমার স্ত্রী দরজা খুলে দিলে  আসামীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার স্ত্রী মোসাঃ হালিমা বেগমকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট শুরু করে দেয়। ডাক চিৎকার দিলে তার গলায় ধারালো ছুড়ি ধরে মৃত্যুর ভয় দেখায়। তখন আমি ঘটনাস্থলে গেলে বিবাদীরা আমাকে ধরে রশি দিয়া বাধার চেষ্টা করে ঐ সময় আমার ছেলে মোঃ মাসুম’র স্ত্রী মোসাঃ নাজমুন্নাহার বেগম আসলে হাতুড়ি দিয়া মাথায় স্বজোরে আঘাত করে। আঘাতে মোসাঃ নাজমুন্নাহার এর মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। ঐ সময় সকল আসামীরা আমার ঘরের কোথায় টাকা ও স্বর্ণালংকার রাখা তা জানতে চায়। আমরা জানাতে রাজি না হলে আমাদের এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশ হতে লোকজন আসা শুরু করে। লোকজন আসা শুরু করলে আসামীরা টের পেয়ে পালিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন স্থানীয় লোকজন আসামীদের পাকড়াও করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত চারজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।