ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ার গ্রামীণ হাটগুলোয় যেন নেই করোনা!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
  • / ৯৬৮

মাহতাব হোসেন, মহিপুর–কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও বাড়ছে না সচেতনতা। বিশেষ করে গ্রামীণ হাটগুলোয় কমেনি ভিড়। নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গাদাগাদি করে এখনো কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে।

অথচ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বাজার-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

সরেজমিনে মহিপুরের ডালবুগঞ্জ সাপ্তাহিক হাট (বুধবারের হাট) ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই অনেকে কেনাকাটা করছেন। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মাস্ক পরলেও তা নেই সঠিক স্থানে।

এ বিষয়ে একেক জন দিচ্ছেন একেক অজুহাত। সবজি, মাছ, মুদি, ফল ইত্যাদি বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। এছাড়া গরুর হাটে ঘুরেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। সংক্রমণরোধে খুব কম মানুষই মাস্ক পরেছেন।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, করোনা বাড়লেও অনেকেরই সংক্রমণের ভয় নেই। তাই নির্দেশনা মানার জন্য প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। নয়তো এভাবেই চলবে। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এ দিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য কোনো আয়োজনই দেখা যায়নি কোনো দোকানে। এ ছাড়া বাজারে ছোট ছোট চায়ের দোকানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দূরত্ব বজায় না রেখেই এসব চলতে দেখা গেছে।

‘করোনা প্রতিরোধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কলাপাড়ায় আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি’ এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।



নিউজটি শেয়ার করুন








কলাপাড়ার গ্রামীণ হাটগুলোয় যেন নেই করোনা!

আপডেটের সময় : ১২:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

মাহতাব হোসেন, মহিপুর–কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও বাড়ছে না সচেতনতা। বিশেষ করে গ্রামীণ হাটগুলোয় কমেনি ভিড়। নেই স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গাদাগাদি করে এখনো কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে।

অথচ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বাজার-শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।

সরেজমিনে মহিপুরের ডালবুগঞ্জ সাপ্তাহিক হাট (বুধবারের হাট) ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই অনেকে কেনাকাটা করছেন। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। ক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মাস্ক পরলেও তা নেই সঠিক স্থানে।

এ বিষয়ে একেক জন দিচ্ছেন একেক অজুহাত। সবজি, মাছ, মুদি, ফল ইত্যাদি বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। এছাড়া গরুর হাটে ঘুরেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। সংক্রমণরোধে খুব কম মানুষই মাস্ক পরেছেন।

ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, করোনা বাড়লেও অনেকেরই সংক্রমণের ভয় নেই। তাই নির্দেশনা মানার জন্য প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। নয়তো এভাবেই চলবে। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এ দিকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য কোনো আয়োজনই দেখা যায়নি কোনো দোকানে। এ ছাড়া বাজারে ছোট ছোট চায়ের দোকানেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দূরত্ব বজায় না রেখেই এসব চলতে দেখা গেছে।

‘করোনা প্রতিরোধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কলাপাড়ায় আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি’ এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।