ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রীজে উঠলেই আতঙ্ক, মহিপুরের লতাচাপলীর অনেকগুলো ব্রীজ এখন মরণফাঁদ!

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১০:০০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ৮১১

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের আসালতখাঁ ব্রীজ, বড়হরপাড়া ব্রীজ, সাধুর ব্রীজ, তাহেরপুর ব্রীজসহ আলীপুর ও ধুলাসারে যাতায়াতের মধ্যবর্তী ব্রীজগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী ছাত্র-ছাত্রী, ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সহ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজগুলো পার হয়ে মিশ্রপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, লাল কাঁকড়ার চর সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাওয়া-আসা করেন। ব্রীজগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যোগাযোগের জন্য এই ব্রীজগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রীজগুলোর উপরের দু’পাশের লোহার পাত, ব্রীজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে ও নিচের লোহার পিলার ভেঙ্গে ফাঁকা হয়ে গেছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সিমেন্টের ঢালাই দেয়া লোহার স্লিপারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে পড়েছে। ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ব্রীজগুলোর ব্যবহার প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই নড়বড়ে ও ভাঙা ব্রীজ দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, শিক্ষার্থী ও পর্যটক। এছাড়া ব্রীজগুলো দিয়ে ছোট ও মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন অটোবাইক, টমটম, ট্রাক, টেম্পু, রিকশা ও ভ্যানসহ অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহনের হাজারো যাত্রী ও ব্যবসায়ী।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয়। তারা দ্রুত এ ব্রীজগুলো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমি ব্রীজ সংস্কার ও তৈরির জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবগত করলে তারা সরেজমিনে এসে ব্রীজ ও পানির পরিমান মেপে গেলেও ব্রীজগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ব্রীজগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।’



নিউজটি শেয়ার করুন








ব্রীজে উঠলেই আতঙ্ক, মহিপুরের লতাচাপলীর অনেকগুলো ব্রীজ এখন মরণফাঁদ!

আপডেটের সময় : ১০:০০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

মহিপুর (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের আসালতখাঁ ব্রীজ, বড়হরপাড়া ব্রীজ, সাধুর ব্রীজ, তাহেরপুর ব্রীজসহ আলীপুর ও ধুলাসারে যাতায়াতের মধ্যবর্তী ব্রীজগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগামী ছাত্র-ছাত্রী, ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সহ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজগুলো পার হয়ে মিশ্রপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, লাল কাঁকড়ার চর সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাওয়া-আসা করেন। ব্রীজগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যোগাযোগের জন্য এই ব্রীজগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রীজগুলোর উপরের দু’পাশের লোহার পাত, ব্রীজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে ও নিচের লোহার পিলার ভেঙ্গে ফাঁকা হয়ে গেছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সিমেন্টের ঢালাই দেয়া লোহার স্লিপারগুলোর বেশির ভাগই ভেঙে পড়েছে। ক্রস অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচা ধরে ব্রীজগুলোর ব্যবহার প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই নড়বড়ে ও ভাঙা ব্রীজ দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, শিক্ষার্থী ও পর্যটক। এছাড়া ব্রীজগুলো দিয়ে ছোট ও মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন অটোবাইক, টমটম, ট্রাক, টেম্পু, রিকশা ও ভ্যানসহ অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহনের হাজারো যাত্রী ও ব্যবসায়ী।

বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয়। তারা দ্রুত এ ব্রীজগুলো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আমি ব্রীজ সংস্কার ও তৈরির জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবগত করলে তারা সরেজমিনে এসে ব্রীজ ও পানির পরিমান মেপে গেলেও ব্রীজগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ব্রীজগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।’