ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা!

মাইনুল ইসলাম রাজু
  • আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৭৯৭

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রামে বিয়ের এক বছরের মধ্যে পিতার বাড়ীতে বসে সাবিনা (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সাবিনার শশুর বাড়ীর সূত্রে জানা যায়, মানিকঝুড়ি এলাকার শানু হাওলাদারের পুত্র মো. বায়েজিদের সাথে একই গ্রামের জামাল মীরের মেয়ে সাবিনার প্রেমের সর্ম্পকের সূত্রে গত এক বছর পূর্বে বিবাহ হয়। কিন্তু ওই বিবাহ কনের পিতা জামাল মীর ও তার পরিবার মেনে নেয়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাহের পর থেকে কনের সাথে তার পিতা-মাতার বিবাদ চলে আসছে ।

ওই বিবাদ মিটানোর জন্য গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জসিম হাওলাদার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য সাহিদা বেগমের উপস্থিতিতে বসে ফয়সালা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময় সালিসগন মানিকঝুড়ি স্ট্যান্ডে উপস্থিত হলেও কনের পিতা জামাল মীর ফয়সালায় বসবেন না বলে সালিশগনকে জানিয়ে দেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে কনে সাবিনা তার পিতা-মাতার সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে ঘুমাতে যায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সাবিনা ঘুম থেকে না উঠায় তার মা রিমা বেগম সাবিনাকে ডাকতে গিয়ে তিনি দেখতে পায় বসত ঘরের দোতালার আড়ার সাথে সাবিনা গলায় কালো রংয়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে।

ওই সময় সাবিনার মা রিমা বেগম ডাকা-চিৎকার শুরু করলে বাড়ীর অন্যান্য লোকজন এসে সাবিনার নিথরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে আমতলী থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আমতলী থানায় নিয়ে যায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।



নিউজটি শেয়ার করুন








আমতলীতে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা!

আপডেটের সময় : ০৫:৪৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রামে বিয়ের এক বছরের মধ্যে পিতার বাড়ীতে বসে সাবিনা (১৯) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সাবিনার শশুর বাড়ীর সূত্রে জানা যায়, মানিকঝুড়ি এলাকার শানু হাওলাদারের পুত্র মো. বায়েজিদের সাথে একই গ্রামের জামাল মীরের মেয়ে সাবিনার প্রেমের সর্ম্পকের সূত্রে গত এক বছর পূর্বে বিবাহ হয়। কিন্তু ওই বিবাহ কনের পিতা জামাল মীর ও তার পরিবার মেনে নেয়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবাহের পর থেকে কনের সাথে তার পিতা-মাতার বিবাদ চলে আসছে ।

ওই বিবাদ মিটানোর জন্য গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জসিম হাওলাদার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য সাহিদা বেগমের উপস্থিতিতে বসে ফয়সালা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময় সালিসগন মানিকঝুড়ি স্ট্যান্ডে উপস্থিত হলেও কনের পিতা জামাল মীর ফয়সালায় বসবেন না বলে সালিশগনকে জানিয়ে দেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে কনে সাবিনা তার পিতা-মাতার সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে ঘুমাতে যায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে সাবিনা ঘুম থেকে না উঠায় তার মা রিমা বেগম সাবিনাকে ডাকতে গিয়ে তিনি দেখতে পায় বসত ঘরের দোতালার আড়ার সাথে সাবিনা গলায় কালো রংয়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে।

ওই সময় সাবিনার মা রিমা বেগম ডাকা-চিৎকার শুরু করলে বাড়ীর অন্যান্য লোকজন এসে সাবিনার নিথরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে আমতলী থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আমতলী থানায় নিয়ে যায়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাবিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।