ডাঃ উত্তম কুমার সাহাকে দেখাতে এসে অতিষ্ট অনেকেই

- আপডেটের সময় : ১০:২৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
- / ১০৩২
এইচ এম মোশারেফ হোসেন সুজন, স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোডের পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাঃ উত্তম কুমার সাহকে রোগীরা দেখাতে এসে অপেক্ষায় থাকায় সমালোচনার মুখে ডাঃ উত্তম কুমার সাহা।
২৪ আগাষ্ট রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চেম্বারে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর অবিভাবক হুমায়ুন বলেন, আমি ছেলে নিয়ে আসছি দুপুর ৩ টার সময়, এখন রাত ৯ টা। আমি আমার ছেলেকে এখনো দেখাতে পারিনি।
বেতাগী থেকে আসা রফিক, দশমিনার জসিম, কলাপাড়ার নাহিদ, বাউফলের সাহিদা সবাই বলেন, ডাঃ উত্তম কুমার সাহা অনেক অনেক ভালো মানুষ এবং অনেক সময় করে রোগী চিকিৎসা দেন। ব্যবহার অনেক ভালো ডাঃ সাহেবের। কথা ও পরামর্শ শুনলে আল্লাহ তায়ালা হুকুমে রোগ ভালো হয়ে যায়। রোগীকে পরীক্ষা খুব কম দেয় যাদের আর্থিক সংকট তাদেরকে ডিসকাউন্ট করে দেয় এবং অসহায় রোগীকে পরীক্ষা না দেওয়ারই চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু আমরা সবাই দূর দূরান্ত থেকে আসছি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বড় ডাঃ উত্তম কুমার সাহাকে দেখাতে। বিষয়টা হলো আমরা সকাল ৭ টা থেকে সিরিয়াল দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। মোবাইল সংযোগ পেতে ৯ থেকে ১০ টা বেজে যায়। তখন সিরিয়াল পাই ৪০ এবং ডাঃ দেখাতে সিরিয়ালের টোকেন হাতে পাই। এরমধ্যে নবজাতক শিশু নিয়ে আসে অনেকে। শিশু হাসে, খেলা করে। বয়স ১ মাস, নবজাতক বলে সিরিয়াল প্রয়োজন হয়না। নবজাতক শিশু, বয়স ১০ দিন ডাঃ আসতে বলছে সিরিয়াল প্রয়োজন হয় না। নবজাতক শিশু, বয়স ৫ দিন পরিবার পরিজন বলে, ডাক্তারকে একটু দেখিয়ে নিয়ে আসি, টাকা পয়সা আর সিরিয়াল প্রয়োজন হয়না। এছাড়া অনেকেই মাধ্যম, পরিচয় দিয়ে দেখিয়ে যায় আর আমরা সিরিয়াল দিয়ে তারপরেও অপেক্ষা করতে করতে অতিষ্ট হয়ে যাই। কারণ, আমাদের অনেক দূর থেকে আসতে হয়, রাত বেশি হলে আবাসিক হোটেলে থাকতে হয়। ডাঃ অনেক ভালো। কিন্তু এ বিষয়টা কেন দেখেনা, আমারা দূরের রোগী তাই আমাদেরকে অবহেলা করে?
তাই আমরা পানামা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং ডাঃ উত্তম কুমার সাহাকে অনুরোধ করছি, বিষয়গুলো দেখার জন্য। যেন আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে না-হয়।