ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও পৌর আ’লীগ সভাপতির মাদকবিরোধী আন্দোলন ৷৷ জেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০২:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • / ৬৪৮

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও দুরামারী দক্ষিণ গোবিন্দ নগর এর সকল এলাকাবাসীকে সংঘবদ্ধ হয়ে (সাঁওতাল পাড়া) এলাকার সামনে একত্রিত হয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি একরামুল হক। তিনি মাদক ব্যবসায়ী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তিকে এই মাদক বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতন করেন।

তাদেরকে এই কথা বলেন যে, মাদকের করালগ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখনি যদি রুখে না দাঁড়ানো যায় তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সর্বনাশা নেশার চোরাস্রোতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের তরুণ সমাজ। মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা, কিন্তু সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। মাদক পাচার এবং মাদকাসক্তির হার কমানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার। সরকারকে সম্ভাব্য সব রকমের সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ। তবে এ পাপের আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য আজ জরুরী হয়ে পড়েছে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ, মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে কাজ শুরু করতে হবে। মাদকবিরোধী আন্দোলন বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রতি মাসে মাদক পরামর্শ সহায়তা গোলটেবিল। শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মাদকবিরোধী বন্ধুমেলা, কনসার্টসহ ২৬ জুন বিশ্ব মাদকমুক্ত দিবস উপলক্ষে সারা দেশে ব্যাপক আয়োজন। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাদকসংক্রান্ত রিপোর্ট, ফিচার, বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয় ও চিঠিপত্র প্রকাশ করা হয়, যা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে।

তিনি আরো বলেন, যারা আমরা এখানে উপস্থিত রয়েছি আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ শুরু করছে কি না তা বোঝার জন্য কতগুলো আচরণগত পরিবর্তন খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, যেমন –

* হঠাৎ করেই স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তন আসতে পারে৷ অন্যমনস্ক থাকা, একা থাকতে পছন্দ করা৷

* অস্থিরতা প্রকাশ, চিৎকার চেঁচামেচি করা৷

* অসময়ে ঘুমানো, ঝিমানো কিংবা হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া ৷

* কারণে-অকারণে মন খারাপ ব্যাবহার করা এবং অসংলগ্ন ও অস্পষ্ট কথাবার্তা বলা ৷

* কোথায় যায়, কার সঙ্গে থাকে – এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হওয়া, গোপন করা কিংবা মিথ্যা বলা ৷

* ঘর অন্ধকার করে জোরে মিউজিক শোনা ৷

* নির্জন স্থানে বিশেষত বাথরুম বা টয়লেটে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটানো৷

* রাত করে বাড়ি ফেরা, রাতজাগা, দেরিতে ঘুম থেকে উঠা৷

* হঠাৎ নতুন অপরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করা ৷

* বিভিন্ন অজুহাতে ঘন ঘন টাকা-পয়সা চাওয়া ৷

* স্বাভাবিক খাবার-দাওয়া কমিয়ে দেওয়া৷

* অভিভাবক এবং আত্বীয় স্বজন এড়িয়ে চলা ৷

* স্বাভাবিক বিনোদন মাধ্যমে ক্রমশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা ৷

* বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া ৷

জেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান

এদিকে শোকাহত আগস্টকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় উপস্থিন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক হিমুন সরকার প্রমু্খ।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, রক্তদান কর্মসূচি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। এতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় প্রদান করা রক্তের ব্যাগগুলো ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে নেতাকর্মীরা জানায়।



নিউজটি শেয়ার করুন








ঠাকুরগাঁও পৌর আ’লীগ সভাপতির মাদকবিরোধী আন্দোলন ৷৷ জেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান

আপডেটের সময় : ০২:১৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও দুরামারী দক্ষিণ গোবিন্দ নগর এর সকল এলাকাবাসীকে সংঘবদ্ধ হয়ে (সাঁওতাল পাড়া) এলাকার সামনে একত্রিত হয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলনে নেমেছেন ঠাকুরগাঁও পৌর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি একরামুল হক। তিনি মাদক ব্যবসায়ী এলাকার কয়েকজন ব্যক্তিকে এই মাদক বন্ধ করার ব্যাপারে সচেতন করেন।

তাদেরকে এই কথা বলেন যে, মাদকের করালগ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখনি যদি রুখে না দাঁড়ানো যায় তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সর্বনাশা নেশার চোরাস্রোতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের তরুণ সমাজ। মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা, কিন্তু সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। মাদক পাচার এবং মাদকাসক্তির হার কমানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার। সরকারকে সম্ভাব্য সব রকমের সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ। তবে এ পাপের আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য আজ জরুরী হয়ে পড়েছে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ, মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে কাজ শুরু করতে হবে। মাদকবিরোধী আন্দোলন বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রতি মাসে মাদক পরামর্শ সহায়তা গোলটেবিল। শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মাদকবিরোধী বন্ধুমেলা, কনসার্টসহ ২৬ জুন বিশ্ব মাদকমুক্ত দিবস উপলক্ষে সারা দেশে ব্যাপক আয়োজন। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাদকসংক্রান্ত রিপোর্ট, ফিচার, বিজ্ঞাপন, সম্পাদকীয় ও চিঠিপত্র প্রকাশ করা হয়, যা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে।

তিনি আরো বলেন, যারা আমরা এখানে উপস্থিত রয়েছি আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য মাদকদ্রব্য গ্রহণ শুরু করছে কি না তা বোঝার জন্য কতগুলো আচরণগত পরিবর্তন খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, যেমন –

* হঠাৎ করেই স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তন আসতে পারে৷ অন্যমনস্ক থাকা, একা থাকতে পছন্দ করা৷

* অস্থিরতা প্রকাশ, চিৎকার চেঁচামেচি করা৷

* অসময়ে ঘুমানো, ঝিমানো কিংবা হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়া ৷

* কারণে-অকারণে মন খারাপ ব্যাবহার করা এবং অসংলগ্ন ও অস্পষ্ট কথাবার্তা বলা ৷

* কোথায় যায়, কার সঙ্গে থাকে – এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হওয়া, গোপন করা কিংবা মিথ্যা বলা ৷

* ঘর অন্ধকার করে জোরে মিউজিক শোনা ৷

* নির্জন স্থানে বিশেষত বাথরুম বা টয়লেটে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটানো৷

* রাত করে বাড়ি ফেরা, রাতজাগা, দেরিতে ঘুম থেকে উঠা৷

* হঠাৎ নতুন অপরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করা ৷

* বিভিন্ন অজুহাতে ঘন ঘন টাকা-পয়সা চাওয়া ৷

* স্বাভাবিক খাবার-দাওয়া কমিয়ে দেওয়া৷

* অভিভাবক এবং আত্বীয় স্বজন এড়িয়ে চলা ৷

* স্বাভাবিক বিনোদন মাধ্যমে ক্রমশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলা ৷

* বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রমাগত টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া ৷

জেলা ছাত্রলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান

এদিকে শোকাহত আগস্টকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রবিবার বিকাল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় উপস্থিন ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক হিমুন সরকার প্রমু্খ।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, রক্তদান কর্মসূচি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। এতে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন। কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় প্রদান করা রক্তের ব্যাগগুলো ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে নেতাকর্মীরা জানায়।