ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাল ভাজা বিক্রি করেই চলছে কলাপাড়ার সোহরাব মিয়ার সংসার

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • / ৭১১

রাসেল মোল্লা, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের সোহরাব মিয়া (৬৫) দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিক্রি করছেন বাদাম, বুট ও চাল ভাজা। এসবের প্যাকেট সর্বনিম্ন ৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু করলেও বর্তমানে সর্বনিম্ন ১০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

এসব বিক্রি করেই চলছে তাদের ২ জনের সংসার। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত বয়স্ক ভাতা পাননি। পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার মুজিব শতবর্ষের ঘর। বর্তমানে টিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নাচনাপাড়ার রাস্তার ঢালে একটি ঘরে থাকেন।

সোহরাব মিয়া কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে পায়ে হেঁটে বিক্রি করা এসব বাদাম, বুট ও চাল ভাজা ক্রয় করতে ছুটে আসেন নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে শুরু হয় তার বিক্রি, চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে দুই থেক তিন হাজার টাকা বিক্রি করেন সোহরার মিয়া।

চাল ভাজা খেতে আসা আশিক, পাবেল ও রুবিনা বলেন, ‘আমরা প্রায়ই তার চাল ভাজা খাই। তিনি চাল ভাজার প্যাকেটে রসুন ও কালোজিরা মিশিয়ে দেয়ায় খেতে খুব ভালো লাগে।’

চাল ভাজা‌ বিক্রেতা সোহরাব মিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই শ্রমিকের কাজ করছি। গত কয়েক বছর ধরে ভারী কোনো কাজ করতে পারছিনা। তাই বাদাম, বুট ও চাল ভাজা বিক্রি করছি। এই টাকায় মোটামুটি চলছে সংসার।’

তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছুটা সমস্যায় পরেছেন তিনি। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটা বয়স্ক ভাতা ও মুজিব শতবর্ষের ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধ সোহরাব মিয়া।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে সোহরাব মিয়ার কথা শুনলাম। সে যদি আমার কাছে আবেদন করে তাহলে যাচাই বাছাই করে আমি বয়স্ক ভাতা ও মুজিব শতবর্ষের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’



নিউজটি শেয়ার করুন








চাল ভাজা বিক্রি করেই চলছে কলাপাড়ার সোহরাব মিয়ার সংসার

আপডেটের সময় : ০৮:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

রাসেল মোল্লা, কলাপাড়াঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের সোহরাব মিয়া (৬৫) দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিক্রি করছেন বাদাম, বুট ও চাল ভাজা। এসবের প্যাকেট সর্বনিম্ন ৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু করলেও বর্তমানে সর্বনিম্ন ১০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

এসব বিক্রি করেই চলছে তাদের ২ জনের সংসার। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত বয়স্ক ভাতা পাননি। পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার মুজিব শতবর্ষের ঘর। বর্তমানে টিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নাচনাপাড়ার রাস্তার ঢালে একটি ঘরে থাকেন।

সোহরাব মিয়া কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে পায়ে হেঁটে বিক্রি করা এসব বাদাম, বুট ও চাল ভাজা ক্রয় করতে ছুটে আসেন নানা বয়সী মানুষ। সকাল থেকে শুরু হয় তার বিক্রি, চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে দুই থেক তিন হাজার টাকা বিক্রি করেন সোহরার মিয়া।

চাল ভাজা খেতে আসা আশিক, পাবেল ও রুবিনা বলেন, ‘আমরা প্রায়ই তার চাল ভাজা খাই। তিনি চাল ভাজার প্যাকেটে রসুন ও কালোজিরা মিশিয়ে দেয়ায় খেতে খুব ভালো লাগে।’

চাল ভাজা‌ বিক্রেতা সোহরাব মিয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই শ্রমিকের কাজ করছি। গত কয়েক বছর ধরে ভারী কোনো কাজ করতে পারছিনা। তাই বাদাম, বুট ও চাল ভাজা বিক্রি করছি। এই টাকায় মোটামুটি চলছে সংসার।’

তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছুটা সমস্যায় পরেছেন তিনি। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটা বয়স্ক ভাতা ও মুজিব শতবর্ষের ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধ সোহরাব মিয়া।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে সোহরাব মিয়ার কথা শুনলাম। সে যদি আমার কাছে আবেদন করে তাহলে যাচাই বাছাই করে আমি বয়স্ক ভাতা ও মুজিব শতবর্ষের ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’