ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালে রশি-টানা নৌকাই গ্রামবাসীর ভরসা

নিউজ রুম
  • আপডেটের সময় : ১২:০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৭২৬

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের মাঝে দেবপুর খালের দুপারের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে মাঝিবিহীন রশি-টানা একাধিক নৌকা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী রশি টেনে খাল পারাপার হচ্ছেন।

জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এ খালেরপশ্চিম পারে পাঁচজুনিয়া আর পূর্বপারে দেবপুর গ্রাম। সেখানে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই ওইসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে হয় রশি-টানা নৌকায় খাল পার হয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একপারে পশ্চিম পাঁচজুনিয়া, অপর পারে পূর্ব দেবপুর গ্রাম। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে দেবপুর খাল। এখানে নৌকায় নির্ধারিত কোনো মাঝি নেই। রশি টেনে পারাপার হতে হয় সবাইকে। এতে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়া প্রতিদিন পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

মাঝিবিহীন নৌকায় পারা পার হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের প্রতিদিন নৌকর রশি-টেনে খাল পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে খালে পরে অনেক সময় বই খাতা ভিজে যায়।

ধানখালী সোনাগাজী হায়াতুন্নেছা অশ্রাব একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুখরঞ্জন তালুকদার বলেন, নৌকায় পারাপারে ঝুঁকি থাকায় অনেকে সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না। কিন্তু খালটিতে একটি সেতু থাকলে রশি-টানা নৌকায় পারাপার হতে হতো না।

চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, পাঁচজুনিয়া ও দেবপুর এই দুই গ্রামের মাঝখানে এই খাল। এখানে একটি ব্রিজ থাকলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো।



নিউজটি শেয়ার করুন








খালে রশি-টানা নৌকাই গ্রামবাসীর ভরসা

আপডেটের সময় : ১২:০৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের মাঝে দেবপুর খালের দুপারের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে মাঝিবিহীন রশি-টানা একাধিক নৌকা। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী রশি টেনে খাল পারাপার হচ্ছেন।

জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এ খালেরপশ্চিম পারে পাঁচজুনিয়া আর পূর্বপারে দেবপুর গ্রাম। সেখানে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই ওইসব গ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে হয় রশি-টানা নৌকায় খাল পার হয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একপারে পশ্চিম পাঁচজুনিয়া, অপর পারে পূর্ব দেবপুর গ্রাম। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে দেবপুর খাল। এখানে নৌকায় নির্ধারিত কোনো মাঝি নেই। রশি টেনে পারাপার হতে হয় সবাইকে। এতে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়া প্রতিদিন পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

মাঝিবিহীন নৌকায় পারা পার হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের প্রতিদিন নৌকর রশি-টেনে খাল পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। এতে খালে পরে অনেক সময় বই খাতা ভিজে যায়।

ধানখালী সোনাগাজী হায়াতুন্নেছা অশ্রাব একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুখরঞ্জন তালুকদার বলেন, নৌকায় পারাপারে ঝুঁকি থাকায় অনেকে সময় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে না। কিন্তু খালটিতে একটি সেতু থাকলে রশি-টানা নৌকায় পারাপার হতে হতো না।

চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, পাঁচজুনিয়া ও দেবপুর এই দুই গ্রামের মাঝখানে এই খাল। এখানে একটি ব্রিজ থাকলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো।