ধ্বংসস্তুপের মাঝে দোকান খুলে বসে আছে মিজান মেকার!

- আপডেটের সময় : ০৩:০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
- / ৭৯৭
এস আলম হাওলাদার
জীবন ও জীবিকার তাগিদে উচ্ছেদ এবং ধ্বংসস্তুপের মাঝে কাজের জন্য দোকান খুলে বসে আছে মিজান মেকার। মহিপুর বন্দরে মাত্র তিনটি ঘর রেকর্ডীয় মালিকাধীন। বাকি সব জায়গা সরকারি সম্পত্তি। যার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্য স্বত্বভোগীদের বদৌলতে শুধু বাঁচার তাগিদে, ছেলে-মেয়েদের ভরণপোষণ এবং লেখাপড়ার খরচ যোগাতে দিন আনে দিন খায় এরকম শতাধিক ক্ষুদ্র দোকানদার ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে যখন মোটামোটিভাবে ব্যবসা গুছিয়ে নিয়ে আসে, তখনই কখনো সড়ক জনপথ, কখনো তহসিলদার, কখনো এসিল্যান্ড এই অসহায় গরীব মানুষগুলোর দোকান উচ্ছেদ করে দেয়।
যারা অনুমতি দেয় আবার তারাই উচ্ছেদ করে। ফলে এই গরীব ব্যবসায়ী ভাইয়েরা পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসে। ছেলেমেয়েকে মানুষ করার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পক্ষান্তরে মহিপুর বন্দরে যারা অন্তরালে মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু সরকারি লোকের অবৈধ বিত্তবৈভবের ব্যালেন্স বৃদ্ধি হয়, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়।
মহিপুর বন্দরে যেখানে সব জায়গাই সরকারি সম্পত্তি। সেখানে কেউ কেউ একটার পর একটা ইমারত গড়ছে। একটার পর একটা দোকান ভাড়া দিয়ে মহাসুখে চৌত্রিশ দাঁত বের করে হাসছে। অন্যদিকে গরীব অসহায় দোকানদারগণ পরিবার নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চোখের জলে শুধু আল্লাহ আর ভগবানের ভরসার স্বস্তি নিয়ে দুঃখের সাগরে ভাসছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মহোদয়গণের কাছে করজোড়ে অনুরোধ- এই মিজান মেকারের মতো ব্যবসায়ী ভাইদের একটা স্বচ্ছ তালিকা করে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অসহায় দোকানদারদের জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিশাল মহিপুরের সরকারি জায়গা বড়লোকদের কাছে একাধিক ডিসিআর বিক্রি না করে, ন্যায্যমূল্যে বেঁচে থাকার জন্য ওদেরকে ডিসিআর প্রদান করুন। ওদের বাঁচতে সাহায্য করুন, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিন।
লেখক : বিশিষ্ট সমাজসেবক