কুকুরের সংস্পর্শ থেকে অন্য কুকুর সংক্রমিত হচ্ছে, না কি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত!

- আপডেটের সময় : ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৬৫৪
নাজমুস সাকিব, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কুকুর অপরিষ্কার থাকার কারণে এবং প্রজননকালে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় কুকুরের গায়ে ঘা হয়ে যায় ও পচনধরে পোকা হয়। এছাড়া কুকুরের শরীর থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ আসে। আর রোগাক্রান্ত কুকুরগুলো ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে। কুকুর তো কথা বলতে পারে না, যার কারণে ওদের ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটা মূলতঃ কোনো ভাইরাসজনিত সমস্যা না।
জানা যায় যে, ভাদ্র-আশ্বিন মাস এই সময়টাতে কুকুরের প্রজননকাল হিসেবে ধরা হয়। মানুষের মত মেয়ে কুকুর এই সময়টাতে হীটে আসে। যখন একটা মেয়ে কুকুর হীটে (পিরিয়ড) আসে তখন তার আশেপাশের ছেলে কুকুরগুলো তার সাথে যৌন সঙ্গম করতে চায়। অনেক সময় দেখা যায় এক এলাকায় মেয়ে কুকুর ২-৩ টা, কিন্তু অত্র এলাকায় ছেলে কুকুর রয়েছে ৮-১০ টা। তখন পুরুষ কুকুর সবাই চায় একজন আর একজনের আগে সঙ্গম করবে। যে কারণে ছেলে কুকুরগুলো নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু করে। এই কামড়াকামড়ির ফলে মূলতঃ এই ক্ষতটা শুরু হয়। কুকুর যেহেতু মানুষের মত নিজের প্রাথমিক চিকিৎসা নিজে করতে পারেনা, সে কারণে এই ক্ষতগুলো ইনফেকশন হয়ে আস্তে আস্তে ক্ষতের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
এনিম্যাল লাভারস অফ পটুয়াখালীর এডমিন মোঃ শামিম বলেন, ‘প্রজননকালের রোগাক্রান্ত কুকুরদের ৪ থেকে ৫ দিন চিকিৎসা দিলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা এনিম্যাল লাভারস অফ পটুয়াখালী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এইসব রাস্তার কুকুর, বিড়াল ও বন্যপ্রাণীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ও রক্ষার জন্য টিম করবো। আশা করি, এইসব সমস্যা ইনশাআল্লাহ থাকবেনা। যদি কুকুরগুলো বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। এক্ষেত্রে যদি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে আমাদের জন্য আরো ভালো হবে। আর মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয়ে এসব কুকুরের প্রতি অত্যাচার না করে, সেজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবার প্রতি অনুরোধ করবো যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়ে মালিকানাহীন কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রতি যাতে অত্যাচার না করে।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ধ্রুববাণীকে বলেন, ‘এ কুকুরগুলো অপরিষ্কার থাকার কারণে রোগটি হয়। যা একটি কুকুর থেকে অন্য কুকুর সংক্রমিত হচ্ছে। তবে ভালো চিকিৎসা দিতে পারলে সুস্থ হয়ে যাবে।’